ঢাকা, সোমবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

২৪ দিন নিখোঁজ, মেয়ের খোঁজে পথে পথে ঘুরছেন মা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৭, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫
২৪ দিন নিখোঁজ, মেয়ের খোঁজে পথে পথে ঘুরছেন মা  নিখোঁজ মরিয়ম: ফাইল ফটো

ঢাকা: ১২ বছর বয়সী এক মেয়ের খোঁজে দেশের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক নারী। নাম রহিমা বেগম।

বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বাদুরা গ্রামে। হারানো মেয়ের নাম মরিয়ম। নিখোঁজ মরিয়ম রহিমা বেগমের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে তৃতীয়। তার স্বামী রুহুল আমিন আগেই মারা গেছেন।

পিরোজপুর থেকে বরিশাল হয়ে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ ঘাট এলাকায়ও মেয়েকে খুঁজছেন রহিমা। কোথায় কার কাছে যাবেন, বুঝতে পারছেন না। আশুলিয়া এলকায় বড় মেয়ের বাসায় রাত কাটিয়ে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা শহরের বিভিন্ন লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে ঘুরছেন তিনি।

মেয়ের খোঁজ পেতে পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রহিমা বেগম। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে মরিয়ম পিরোজপুর বালিপাড়া নুরানী মাদরাসায় ১ম নূরানী শ্রেণির একজন ছাত্রী। আমি গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে মেজ মেয়ে মরিয়মকে বাড়িতে রেখে ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে তার মাদরাসায় দিতে যাই। সুমাইয়াকে মাদরাসায় দিয়ে এবং কিছু কাজ শেষ করে ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে বাড়িতে আসি। তবে বাড়িতে এসে মরিয়মকে পাই না। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি।

মরিয়মের বর্ণনা- ১২ বছরের মরিয়মের উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। মুখমণ্ডল গোলাকার, মাথার চুলকোকরা, খাট। নিখোঁজের সময় জলপাই রংয়ের নতুন স্ত্রী পিছ পড়া ছিলো মেয়েটি। দুই হাতে ও দুট পায়ে বিভিন্ন দাগ আছে। পিরোজপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মেয়েটি।

জিডির তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল জলিল বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সারাদেশের থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ফেসবুক পেজেও ছবিসহ পোস্ট করেছি। পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি এবং এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো সন্ধান পাইনি।  

এদিকে মেয়ের খোঁজে পাগলপ্রায় মেয়েকে সদরঘাটে খোঁজ করে পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।  

মেয়ের সন্ধান পেলে ০১৮৬৮-৯৫৫৬৪৯ এ মোবাইল নম্বরে জানানোর অনুরোধ করেছেন রহিমা বেগম।  

কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ