ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জুন ২০২৫, ০১ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

অনলাইনে ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি, প্রতারক গ্রেপ্তার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪১, জুন ২৬, ২০২৫
অনলাইনে ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি, প্রতারক গ্রেপ্তার

ঢাকা: স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় বিদেশি প্রসাধনী, এ বিষয়ে নেই কোনো কাগজপত্রও। উৎপাদিত ভেজাল প্রসাধনী ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারের বিভিন্ন অসাধু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতো প্রতারক চক্রটি।

এমনকি অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সে ভেজাল পণ্য সস্তায় কিনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে দেদার বিক্রি করতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব গোমর ফাঁস হয়ে ধরা পড়লো সিআইডির একটি ভেজাল-বিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রতারক চক্রের এক সদস্য।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান (মিডিয়া) এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. হৃদয় হোসেন (২৫)। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ভেজাল প্রসাধনী ও মোড়ক উদ্ধার করা হয়। গত ২৪ জুন দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ পুরাতন ভাড়ালিয়া এলাকায় সিআইডি ঢাকা জেলার একটি ভেজাল-বিরোধী বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
 
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি’র বিশেষ টিম ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী কারখানায় উৎপাদন ও মোড়কজাত করা অবস্থায় মো. হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে এবং তার তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৯টি আইটেমের ১০৭০ প্যাকেট বিভিন্ন রকম নকল ও ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী সামগ্রী এবং ২০০ পিস খালি মোড়ক উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানান, বিদেশি এসব প্রসাধনী সামগ্রী বাংলাদেশে উৎপাদন বা আমদানি হয় না। চক্রের অন্যান্য সদস্যরা বিদেশের লাগেজ পার্টির মাধ্যমে স্যাম্পল এনে তা কপি করে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে। এ উৎপাদন সংক্রান্তে তাদের কোনো কাগজপত্র নেই। ওই প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করে লালবাগ ও চকবাজারের বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে সরবারাহ করে এবং পরবর্তীতে তারা বিদেশি প্রসাধনী বলে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা সাধারণ মানুষের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে।  

এছাড়া অনেক ক্রেতা তার কাছ থেকে মাল নিয়ে স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অনলাইনেও প্রচুর বিক্রি করে  জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, প্রতারক চক্রের অপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।