ঢাকা, বুধবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ জুন ২০২৫, ২১ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য শক্তি বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, জুন ১৮, ২০২৫
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য শক্তি বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা ছবি আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ থেকে নেওয়া

ঢাকা: রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। তবে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের এই যুদ্ধ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

 বুধবার (১৮ জুন) আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার: রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অংশ দখল করেছে। এরপর থেকে রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ধর্মীয় ভাষা ব্যবহার করে সদস্য নিয়োগ বাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার আরাকান সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা বিদ্রোহ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে এটি মিয়ানমারের আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্পর্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করবে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আটকা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশে বসবাসকারী ১০ লাখ শরণার্থীর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের উচিত রাখাইন রাজ্যের সাথে অনানুষ্ঠানিক আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করা, একইসঙ্গে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠীর প্রভাব কমানো। আর আরাকান আর্মির উচিত রাখাইনের সব সম্প্রদায়ের জন্য শাসন নিশ্চিত চেষ্টা করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির অগ্রগতির পর রোহিঙ্গা সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়েছে। কক্সবাজারের শিবিরে বহু বছর ধরে সহিংস দ্বন্দ্বে জড়িত থাকা এসব গোষ্ঠী গত নভেম্বরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে একযোগে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর শিবিরে সহিংসতা কমে এলেও সদস্য সংগ্রহ বেড়েছে। কারণ, আরাকান আর্মি রাখাইনের বৌদ্ধ জনগণের সমর্থন পায়, তাই রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় আহ্বানের মাধ্যমে সংঘাতে নামানো হচ্ছে।

টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।