ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

কারাগারে সুজনের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সন্দেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১২, জুন ১৫, ২০২৫
কারাগারে সুজনের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সন্দেহ

ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করা’ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের (৪৫) মৃত্যু নিয়ে ‘সন্দেহপোষণ’ করেছে তার পরিবার।

রোববার (১৫ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সুজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

এরপর স্বজনরা মরদেহ বুঝে নেন।

এ সময় নিহতের বড় ভাই মেরাজ মাতবর বলেন, দুপুরে কারাগার থেকে ফোন করে সুজনের বিষয়ে জানানো হয়। তবে তখনও তার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে তারা। শুধু বলে, আপনারা হাসপাতালে আসুন। এরপর বিকেলে এসে সুজনের মরদেহ দেখতে পাই।

তিনি বলেন, সুজনের গলায় ক্ষত রয়েছে, থুতনিতেও ক্ষত আছে। বিষয়টি আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। সুরতহাল প্রস্তুতের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও বিষয়টি আমাদের পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন মিয়া।

এর আগে রোববার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে নিজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন সুজন।  

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, বন্দি সাইদুর রহমান সুজন ডিটেনশনে সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে বন্দি সুজন নাশতাও করেছেন। ওই কক্ষে তিনজন বন্দি, একজন সম্ভবত আদালতে গিয়েছেন, অপরজন ঘুমিয়ে ছিলেন, এ সুযোগে সুজন নিজের গামছা পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান।

আইজি প্রিজন্স জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেরও মামলা আছে। তবু কারা অভ্যন্তরে আত্মহত্যার ঘটনা কীভাবে হলো, এ বিষয়ে একটি কমিটি করে তদন্ত করে দেখা হবে।

সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সুজনও আত্মগোপনে চলে যান। তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন।

এর আগে শেখ হাসিনার শাসনামলেও ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাইদুর রহমান সুজন।

আরও পড়ুন: কারাগারে গলায় ফাঁস দিলেন সেই অস্ত্রধারী সুজন, ঢামেকে মৃত ঘোষণা


এজেডএস/এমইউএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।