ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১২ জুন ২০২৫, ১৫ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের ছুটিতে মেট্রোরেল যাত্রীদের গন্তব্য ছিল বিনোদনকেন্দ্রে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৮, জুন ১০, ২০২৫
ঈদের ছুটিতে মেট্রোরেল যাত্রীদের গন্তব্য ছিল বিনোদনকেন্দ্রে

ঢাকা: ঈদের একদিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীতে ফের চলাচল শুরু করেছে মেট্রোরেল। দীর্ঘ ঈদের ছুটির কারণে এবার রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা।

বর্তমানে যারা ঢাকায় রয়েছেন, তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঢাকার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। আর এসব বিনোদন কেন্দ্রে দ্রুত যাবার সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল।          

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরের পর সরেজমিনে রাজধানীর আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়া এবং মিরপুর ১০ এবং ১১ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে থেকে যাত্রীদের বিভিন্ন  বিনোদনকেন্দ্রে যেতে দেখা যায়।

মেট্রোরেলে সকালের দিকে ভিড় কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে বেড়ে যায় যাত্রীদের আসা যাওয়া। বিভিন্ন স্টেশনে টিকেট কাউন্টারে ভিড় না থাকলেও মেট্রোরেলের ভিতরে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সিট না পেয়ে অসংখ্য যাত্রী মেট্রেরেলে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা যায়।

যাত্রীরা বলছেন, ঢাকা শহর এখন ফাঁকা, সড়কে গণপরিবহনও কম চলছে। ছয় সাত মিনিট পরপর মেট্রোরেল আসা যাওয়া করছে। আজকে বাইরে প্রচণ্ড গরম, মেট্রোতে এসি রয়েছে, খুব কম সময়ে মেট্রোরেলে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়, তাই দাঁড়িয়ে গেলেও তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। যাদের ব্যক্তিগত কোনো বাহন নেই, তাদের জন্য মেট্রোরেলে যাতায়াত অনেক সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ।  

যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেট্রোতে ওঠা অধিকাংশ যাত্রীর গন্তব্য বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র। যাত্রীরা পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে কেউ উত্তরা দিয়াবাড়ি, কেউ আগারগাঁও বিমান জাদুঘর, কেউ জিয়া উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনাপার্কে যাওয়ার জন্য মেট্রোতে উঠেছেন।  

মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়ীতে থাকা কয়েকজনের কথা বললে, তারা জানান, ঈদের পর দিন থেকেই মেট্রোরেল পুরোদমে চলছে। সকালে কিছুটা যাত্রীর চাপ কম থাকে। তবে বিকেলে এবং সন্ধ্যায় যাত্রীর চাপ অনেক বেড়ে যায়। সবাই দিনের কাজ শেষ করে বিকেলে দিকে ঘুরতে বের হয়, তাই চাপ বেড়ে যায়। ঈদের ছুটি যে কয়দিন আছে, সে কয়দিন যাত্রীদের এমন চাপ থাকবে বলেও তারা জানান।

উত্তরা দিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা পুরাণ ঢাকার হোসেন আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, অন্য সময়ে কাজের চাপে খুব বেশি বেড়ানো হয় না। পরিবার নিয়ে দিয়াবাড়ি যাচ্ছি কিছুটা সময় খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে। দিয়াবাড়িতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবারও মেট্রোতে বাসায় ফিরবো।

অন্যদিকে ফাহিম এবং আকরাম নামের দুই বন্ধু উত্তরা থেকে থেকে সংসদ ভবন, জিয়া উদ্যান এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছেন। মেট্রোরেলের ভেতরে তাদের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যান, সংসদ ভবন, আগারগাঁও বিমান বাহিনী জাদুঘর এলাকায় বেড়াতে যাচ্ছি। ঘোরাঘুরি শেষে আবারও মেট্রোরেলেই উত্তরা ফিরবো।

যাত্রীরা বলছেন, দ্রুত এবং কম সময়ে মেট্রোরেলে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যাওয়া যায়। ভাড়াও খুব একটা বেশি না, তাই ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে যাবার জন্য মেট্রোরেল তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শুধু মতিঝিল থেকে উত্তরা নয়, পুরো ঢাকা শহরে মেট্রোরেল চালু করতে পারলে ঢাকাবাসী যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচবে এবং মানুষের সময় কম লাগবে বলেও যাত্রীদের অভিমত।  

আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ