সাভার (ঢাকা): ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই সাভারের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের পাশাপাশি সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে।
বুধবার (৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের সাভার, নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানীবাজার বাস স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে উপচে পড়া যাত্রী ভিড়। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে গিয়েও দেখা যায় বাসের আসন সংকট। এই সুযোগে অনেক পরিবহনকর্মী যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন দ্বিগুণ ভাড়া।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রী হেলাল মিয়া বলেন, বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু কোনো বাসেই আসন পাচ্ছি না। দুই-একটি বাসে আসন পেলেও তারা ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ। তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও এখনো বাসে উঠতে পারিনি। যেখানে ভাড়া ৬৫০ টাকা, সেখানে চাচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা। এত টাকা দিয়ে বাসে উঠব কীভাবে?
একই অভিযোগ জামালপুরগামী যাত্রী সেন্টু মিয়ারও। তিনি বলেন, ভীষণ যাত্রী চাপ। তবুও আসন নেই। ৪০০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে ৮০০ টাকা। এখন চিন্তায় আছি বাড়ি যাব কীভাবে। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে লাভ নেই, কারণ অনেক যাত্রীই ইচ্ছা করেই বেশি ভাড়া দিয়ে বাসে উঠছেন। আমরা খেটে-খাওয়া মানুষ, বিপদে আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল-রিয়াদ পরিবহনের চালক হুসাইন বলেন, আমরা যাত্রী পেলেই নিচ্ছি। আসন যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে তো আর যাত্রী তুলতে পারি না। অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না, যাত্রীদের কাছে ঈদের বোনাস চাইছি—অনেকে দিচ্ছে, অনেকে দিচ্ছে না। জোর করে কিছু করছি না।
অন্যদিকে জামালপুর ট্রাভেলসের চালক মানিক মিয়া বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমরা নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছি। তবে আসন সংকট আছে, যাত্রী বেশি। আগে আসলে আসন পাওয়া যাচ্ছে, পরে এসে তো আর পাবেন না। এর দায় আমাদের না।
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, আজ থেকে সাভারে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যাত্রী চাপ বেশি, তাই হয়তো আসন সংকট দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএইচ