ঢাকা: দুগ্ধখাতে দক্ষতা- টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সম্মিলিত উদ্যোগে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।
ঢাকার ডেনমার্ক দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ সরকার দুগ্ধখাতে দক্ষতা-টেকসই উন্নয়নে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্য দিয়ে টেকসই ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে নিজেদের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করেছে দুই দেশ।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সুসম্পর্ক রয়েছে, এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করাটাই তাদের সহযোগিতার মূল বিষয়। এ স্ট্র্যাটেজিক সেক্টর সহযোগিতার মাধ্যমে, ডেনমার্ক বাংলাদেশকে নিরাপদ ও দক্ষ দুগ্ধখাত উন্নয়নে সহায়তা করছে, যাতে বাংলাদেশ দুগ্ধখাতে স্বনির্ভর হতে পারে।
বাংলাদেশে দুগ্ধখাত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম, যা প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন পরিবারের অতিরিক্ত আয়ের উৎস। তাই দুগ্ধখাতের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো টেকসই এবং সম্পদ-সাশ্রয়ী দুগ্ধখাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো। অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, ডেনিশ বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে খাদ্য, প্রাণি স্বাস্থ্য, বায়োসিকিউরিটি এবং প্রাণি কল্যাণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এ উদ্যোগ আমাদের একটি সবুজ, নিরাপদ ও আরও কার্যকর দুগ্ধখাত গড়ার পথে একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করেছে, যা আমাদের জনশক্তিকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জ্ঞান ও উপকরণ দিয়ে সমৃদ্ধ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মধ্যে প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ পার্টনারশিপ দুগ্ধখাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন এবং নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।
বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, যা মানুষের এবং খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষকদের উপকারে আসে। আমি গর্বিত যে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ একত্রে এ লক্ষ্যে কাজ করছে। এ পার্টনারশিপ দুই দেশের খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সংকল্পকে দৃঢ় করেছে।
এটি ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত সরকার-থেকে-সরকার সহযোগিতা। ডেনমার্কের প্রকল্প অংশীদার হলো ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বাংলাদেশের অংশীদাররা হলো বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, ডিরেক্টরেট জেনারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
টিআর/জেএইচ