ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেছেন, চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো কৌশলগত স্বার্থ নেই। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়।
বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সহযোগিতার পথ’ শীর্ষক এ সেমিনারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব রয়েছে, যা উন্নয়ন সহায়তার বাইরেও বিস্তৃত। দুই দেশ শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করে।
পার্ক ইয়ং সিক দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধের ওপর জোর দেন, যা পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্ব শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তৈরি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক বহুমুখী। এ প্রসঙ্গে তিনি গভীর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতা এবং শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা ওপর জোর দেন।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৬০ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থান একই ছিল। তবে তারা এখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। কোরিয়া বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা দিচ্ছে। তাদের এই উন্নয়ন নীতি সবার থেকে আলাদা।
সেমিনারে মূল বক্তা ‘বিস’র গবেষক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, কোরিয়ার দুই শতাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। চট্টগ্রামে কেইপিজেডে ৭০ হাজার কর্মী কাজ করছে।
কোরিয়া বাংলাদেশে সামরিক, শিক্ষা, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, আইটি, ওষুধ, কৃষি, ফুটওয়্যার, গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। আগামী দিনে এই সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।
টিআর/এমজেএফ