দিনাজপুর: দিনাজপুরে ফুলবাড়ি ৪০ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিডিআর আইনে পরিচালিত বিশেষ আদালত ১৩-এর মাধ্যমে এ বিচার কাজ শুরু হয়।
বিশেষ আদালত ১৩-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দিনাজপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সালেহ আহমেদ। আদালতের বিচার কাজে নিয়োজিত অপর ৩ সদস্য হলেন লে. কর্নেল মাহফুজুর রহমান, মেজর দিদার আল-লতিফ এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ রায়।
মামলায় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৪০ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আমিরুল ইসলাম সিকদার।
২৬ ও ২৭ অক্টোবর অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচার কাজ চলবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের সাথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি ৪০ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ডিএডি রফিকুল ইসলামসহ ২০ জন বিডিআর সদস্য একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপর অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষণ করে তারা জনমনে ভীতির সঞ্চার করেন।
এ ঘটনায় সরকারি কোষাগারের গোলাবারুদ তিগ্রস্ত এবং একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সুনাম বিনষ্ট করার অপরাধে ২০ জন বিডিআর সদস্যকে আসামি করে পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল আলম বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ১১ মে সদর প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এজলাস-৪ এ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন।
বিচারক ২০ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পরদিন ১২ মে ফুলবাড়ি থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ২০ জন বিডিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য গত ৩ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন পেশ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ২০ জন বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির বিচার কাজ শুরু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০