ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

বান্দরবান: কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই ও তার স্ত্রী ভাতের সঙ্গে মদ না পেয়ে বান্দরবান শহরের একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে রেস্তোরাঁর মালিকের স্ত্রী, শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ার তোহজাহ রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।

একটি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ছিল বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাইয়ের দ্বিতীয় দিন। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনিথোয়াই স্ত্রী ও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তোহজাহ রেস্তোরাঁয় ঢুকে ভাতের সঙ্গে মদ দিতে বলেন। রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং তাদের ভাত দিতে দেরি হবে এবং মদ দিতে পারবেন না বলে জানান। এতে চটে যান মংনিথোয়াই ও তার স্ত্রী। এসময় তার স্ত্রী বলেন, আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বউ, মদ এখনই দিতে হবে। না হলে দোকান বন্ধ করে দেব। এ কথা বলার পর তারা হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা রেস্তোরাঁর মালিক ও তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। এসময় রেস্তোরাঁর মালিকের স্ত্রীর কোলে থাকা শিশুটি মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। মারধর থামাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাতেই বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেয়।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং (৩২), তার স্ত্রী উম্যাশৈ (২৫), তাদের দুই বছরের সন্তান উখ্যাই, ভাই খিংসাই মং (৩৬) ও মা পাইনুচিং (৬৫)।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিদার বলেন, আহতদের শরীরে কামড়ের দাগ রয়েছে। তাছাড়া হাত-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি।

এদিকে এ ঘটনা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবানে আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে এটাকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার আখ্যা দিয়ে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী দাবি করেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি আজ পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে।

এদিকে রেস্তোরাঁর মালিকের ভাই জসাই মারমা জানান, সকালে মীমাংসার জন্য জেলা পরিষদে বসলেও সঠিক বিচার আমরা পাইনি, তাই আমরা আমাদের অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে আদালতের কাছে এ ঘটনার বিচার চাইব।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।