ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদক কারবারে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
মাদক কারবারে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ

ঢাকা: মাদক কারবারে গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি জানান, সিআইডি এ পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত ৩৫টি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১০টি মামলার তদন্তে প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে বাড়ি-গাড়ি, জমি ক্রোক করা হয়েছে।

সিআইডি প্রধান জানান, এ পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি, এর মধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন। এসব মামলার গডফাদারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু মামলার চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ১০টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯ দশমিক ১৪ একর জমি ও দুটি বাড়ির মূল্য আট কোটি ১১ লাখ টাকা। মাদক সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি এবং ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার তদন্তে সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। এর পেছনে গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। কিন্তু গডফাদারদের আরও আগে আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদকের এত ব্যাপ্তি হতো না। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পদ ক্রোকের কাজে হাত দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পদ ক্রোকের বিষয় আমরা আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে ক্রোক করে আদালতেই জমা দেওয়া হয়।

গডফাদারদের পরিচয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক কারবারি। তাদের আর কোনো পরিচয় নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডি ভিন্ন আঙ্গিকে পেছনের ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তাদের যোগাযোগ, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহজনক লেনদেন পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করছেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, যেহেতু গডফাদারদের গায়ে হাত পড়েছে। তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাদের সম্পত্তিও ক্রোক হচ্ছে। তাই আমি মনে করি, অন্য গডফাদাররাও নিরুৎসাহিত হবে। আমি বিশ্বাস করি অন্য গডফাদাররা মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।