ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটপাতের উচ্ছেদ অভিযান যেন কাগজে-কলমে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৯, মার্চ ২৬, ২০২৪
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটপাতের উচ্ছেদ অভিযান যেন কাগজে-কলমে

ঢাকা: ৭২ ঘণ্টা পরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটপাতের চিত্র যেন বদলে গেছে। এখানকার ফুটপাতগুলো সকাল-দুপুর ফাঁকা থাকে।

১০ নম্বর গোল চত্বরের চারপাশের ফুটপাত দখল করে বিকেল থেকে বসতে শুরু করেন হকাররা। এ গোল চত্বরের উচ্ছেদ অভিযান যেন কাগজে-কলমেই থেকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটপাতে হকারদেরই দৌরাত্ম্য দেখা যায়। সকাল বা দুপুরে এখানকার ফুটপাত হকারদের দখলে না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাদের দখলে চলে যায়। এখানে চলাচল করা পথচারীরা হয়ে যায় অসহায়।

এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগ। এ সময় বেশ কয়েকটি সড়ক থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়।  

এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, ১০ নম্বর গোল চত্বরের পূর্ব পাশে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ থেকে বসতে শুরু করেন হকাররা।  

এছাড়া মিরপুর-১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের সামনে দুপাশের ফুটপাত দখল করে বসেছেন হকাররা। এখানে সবচেয়ে বেশি বসেছে প্যান্ট, শার্ট ও জুতার দোকান।

১০ নম্বর গোল চত্বরের এক শার্ট বিক্রেতা রাজু। আপনাদের না উচ্ছেদ করা হয়েছিল আবার বসলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জীবনটাই গেল দৌড়াদৌড়িতে। এক জায়গা থেকে উঠিয়ে দিলে আবার আরেক জায়গায় গিয়ে বসি। আমরা তো আর ইচ্ছা করে এমনটা করি না। আমরা পেটের দায়ে ফুটপাত দখল করে বসি। ঈদ সামনে। আশা করি, বেচাকেনা ভালো হবে।

ফায়ার সার্ভিসের সামনে ফুটপাতের জুতার দোকানদার আরমান আহমেদ। তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে এখানেই ব্যবসা করছি। আমাদের উঠিয়ে দিলে কোথায় যাবো। প্রশাসন আগে থেকেও জানায়নি আমাদের এখান থেকে যে সরে যেতে হবে। ঈদ সামনে রেখে অনেক জুতা কিনেছি। এগুলো তো বিক্রি করতে হবে। এমন অবস্থায় এগুলো বিক্রি না করতে পারলে ধার-দেনার টাকাও শোধ করতে পারবো না।  

প্রত্যক্ষদর্শী মো. আলী বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের নিউজ দেখলাম ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটপাত থেকে হকারদের সরানো হয়েছে। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় এসে দেখছি ফুটপাতের দোকানে ভিড়ের কারণে থাকতেই পারছি না। মানুষের গায়ে গায়ে বাড়ি খাচ্ছি। হকারদের উচ্ছেদ করার পরও তারা আবার বসেছে। আসলে এদের খুঁটির জোর কোথায়? এটা খুঁজে বের করতে হবে প্রশাসনকে।  

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে এখানে আমরা অভিযান চালিয়েছি। আবার হকাররা ফুটপাত দখল করে বসেছে কিনা জানি না। যদি আবার হকাররা বসে থাকে তাহলে দুই ওসিকে বলছি ব্যবস্থা নিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।