ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে দাগনভূঞায় পানি শোধনাগার প্রকল্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে দাগনভূঞায় পানি শোধনাগার প্রকল্প

ফেনী: দাগনভূঞায় পানি শোধনাগার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩২ পৌরসভার পানি শোধনাগার প্রকল্পের আওতায় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন।

পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুন উর রশিদ হাওলাদার, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক অজেয় বাংলা সম্পাদক শওকত মাহমুদ, কাউন্সিলর নুরুল হুদা সেলিম, মো. ফারুক, জিয়াউল হক জিয়া, আবদুল কুদ্দুছ মিজান, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার আবদুল জলিল আদর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামছুদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুজ্জামান আশ্রাফ ও পৌর ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রায়হান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও স্থানীয় কর্তাব্যক্তিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক একরাম।

পৌরসভা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন রামানন্দপুরে ৪৭ দশমিক ৫০ শতক জায়গার ওপর নির্মিত এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, ৩২ পৌরসভার পানি শোধনাগার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও জমি ক্রয়ে কোনো বরাদ্দ ধরা হয়নি।

পানি শোধনাগারের জন্য ৫০ শতক এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ৩০০ শতক জমি প্রকল্পভূক্ত পৌরসভাগুলোয় নিজস্ব তহবিল থেকে ক্রয় করতে বলা হয়। এদিকে দাগনভূঞা পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি না থাকা এবং জমি কেনার জন্য তহবিলও না থাকায় প্রকল্পটি ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরবর্তীতে পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই প্রকল্পের জন্য ৩৫০ শতক জমি কিনে দেন।

জমি পাওয়ার পরই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পৌরবাসী এর সুফল ভোগ করবেন।

মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকার পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন ও আর্সেনিক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পৌরবাসীর জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটিও এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেলে পৌরসভার যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এবং এর থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের দুর্ভোগ থেকে মানুষ রেহাই পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
এসএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।