ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে সড়কে ঝরলো ৩৬৬ প্রাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
সিলেটে সড়কে ঝরলো ৩৬৬ প্রাণ

সিলেট: ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

বিদায়ী বছরে সিলেট বিভাগে ২৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৬৬ জন ও আহত হয়েছে ৪৬৪ জন।

২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে দুর্ঘটনা বেড়েছে আটটি, নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ জন এবং আহত বেড়েছে ২৯ জন।

আগের বছর ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৭ জন নিহত ও ৪৩৫ জন আহত হয়। নিসচার প্রতিবেদনেও ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে সিলেট বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনা নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছর সিলেট জেলায় ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৫৯ জন এবং আহত হয়েছে ১৪৪ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় ৩৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৪৯ জন, আহত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত এবং ৬৮ জন আহত হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলায় ১০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ২০৩ জন আহত হয়েছে।

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিসচা সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, ট্রাস্কফোর্স  কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালনা, চালকের মাদকের আসক্তি, মহাসড়কে নির্মাণ ত্রুটি, গাড়িতে শিশুদের উপযোগী আসনা না থাকা,সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি পাওয়া, মোটরসাইকেল চালকদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট বসানো ও চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া, অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো ইত্যাদি দুর্ঘটনা মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তাছাড়া জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশা আলাদা লেন না থাকা, অবৈধ ব্যাটারিচালিত যান, সড়ক-মহাসড়কে উঠে বেপরোয়া গতিতে চলা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রাক্রসিং, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র পারাপার ও রাস্তা চলাচল, রাস্তা পারাপার ও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলফোন ব্যবহার করাকে দায়ী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।