ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে হাঁটুপানি, যাতায়াতে ভোগান্তি

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে হাঁটুপানি, যাতায়াতে ভোগান্তি

নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে জমে আছে হাঁটুপানি। ফলে যাতায়াতে রোগী, নার্স ও চিকিৎসকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  সৈয়দপুর পৌরসভার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার করণে পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। তিন দিন ধরে চারপাশে পানির ফলে হাসপাতালে ঢুকতে ও বের হতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে। সেই সাথে সাপের উৎপাত বাড়ায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে রোগীসহ স্বজন, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালের প্রধান ফটক  থেকে জরুরি বিভাগ পর্যন্ত যেতে পানি মারিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে নারী-শিশু-বয়ষ্করা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে এই সামান্য পথ পাড়ি দিতে রিকশা ভাড়া নিচ্ছেন।  

কোলের শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার গৃহিণী আরাফা বেগম বলেন, অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে এসে পানির কারণে আরেক ভোগান্তিতে পড়েছি। অটো থেকে নেমে দেখি গেটের পরই হাটুপানি। বাধ্য হয়ে রিকশা নিতে হলো জরুরি বিভাগে যেতে। এটুকুর জন্য অতিরিক্ত ৪০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। অনেকে পানি মারিয়েই যাচ্ছে। নোংরা পানিতে নামায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও আছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের এই হাসপাতালটি বেশ নিচু জায়গায়। সড়ক থেকে প্রায় ৩ ফুট নিচু হওয়ায় চারপাশের পানি এসে এখানে জমে। আর ড্রেন দিয়ে পানি বের হয়ে যে ভাগাড়ে পড়ে সেটা ভরাট হয়ে গেছে। তাছাড়া ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় পানি প্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, যেভাবে পানি জমেছে তাতে খুবই দুরাবস্থার শিকার হয়ে পড়েছি। এই পানি নিষ্কাশন না হয়ে উল্টো ড্রেন দিয়ে বাইরের পানি ভেতরে ঢুকে পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ 
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।