ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এইচএসসিতে নিজ ইচ্ছামতো আসনবিন্যাস, অধ্যক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
এইচএসসিতে নিজ ইচ্ছামতো আসনবিন্যাস, অধ্যক্ষের কাছে ব্যাখ্যা তলব 

জয়পুরহাট: চলতি উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মুজিবর রহমান সরকারি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নিজের ইচ্ছামতো আসনবিন্যাসে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

এ ঘটনায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছোলায়মান আলীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

 

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফিরোজ হোসেন তিন কার্য দিবস সময় বেধে দিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন।  

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা জানাজানি হয়।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. ফিরোজ হোসেন ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ইউএনও'র দায়িত্বে ছিলেন। তিনি পদাধিকার বলে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি।  

ভারপ্রাপ্ত ইউএনও গত ৩ সেপ্টেম্বর ১১টার সময় আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান কলেজে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০৩ নম্বর কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি দেখেন নুর নগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ৩৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। ২০১ নম্বর কক্ষে ৭০ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্য আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ৪৬ জন পরীক্ষার্থী একপাশে ও অন্যপাশে নুর নগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ২৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।  

অধ্যক্ষের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালায় একই মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের পরস্পরের সন্নিকটে আসন ব্যবস্থা করা যাবে না মর্মে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা রয়েছে।  

২০৩ ও ২০১ নম্বর কক্ষে নিজ ইচ্ছামতো পরীক্ষার্থীদের আসনবিন্যাস করার দায়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন করা হবে না, তার সন্তোষজনক জবাব তিন দিনের মধ্যে দাখিলের অনুরোধ করা হলো।  

জানতে চাইলে আক্কেলপুর মুজিবর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছোলায়মান আলী বলেন, পরীক্ষা কক্ষের আসনবিন্যাস নিয়মানুযায়ী ছিল, কিন্তু পরীক্ষার্থীরা পাশাপাশি বসেছিল। ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বিষয়টি দেখেছেন। এ ঘটনায় ইউএনও চিঠি দিয়ে আমার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, তিনদিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার সরকারি ছুটি থাকায় অধ্যক্ষ আরও একদিন সময় হাতে পেয়েছেন। সে কারণে এখনো আমি অফিসিয়ালি জবাব পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।