ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জনতা পাইপ উঁচু করে ধরল, আগুন নেভালো ফায়ার সার্ভিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
জনতা পাইপ উঁচু করে ধরল, আগুন নেভালো ফায়ার সার্ভিস

ঢাকা: রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় মিষ্টির দোকানের আগুন নেভানোর সময় উপস্থিত জনগণ ফায়ার সার্ভিসকে খুবই সহযোগিতা করেছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে পানি সাপ্লাইয়ের মোটা পাইপ তারা উঁচু করে ধরেছে।

এতে ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভাতে সহজ হয়েছে।  

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা মনে করছেন, ঢাকা শহরের যেখানেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটুক উপস্থিত জনতার ঢলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে  হয়। এছাড়া সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জ্যাম। যেমন আজকে দুই পাশের সড়কে জ্যাম ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে এই জ্যামের কারণে দেরি হয়েছে। যদিও রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ অনেক সহযোগিতা করেছে।  

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালের দিকে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, মধ্য বাড্ডায় মিষ্টির দোকানে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে দুইটা ইউনিট নিয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয় কিন্তু রাস্তার দুই পাশে প্রচন্ড জ্যাম কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। যদিও রাস্তায় থাকা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ তাদের সহযোগিতার এক পর্যায়ে সেখানে পৌঁছানো হয় এবং দুই ইউনিট কাজ করে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। বাড়তি দুটি ইউনিট ফেরত পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে যেখানেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটুক উপস্থিত জনতার ঢলের কারণে আগুন নেভাতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের। তবে প্রধান সমস্যা রাস্তায় জ্যামের কারণ।  

আজকে উপস্থিত জনতা তাদের স্বেচ্ছায় পাইপগুলো উঁচু করে ধরেছে কেউ যেন পাইপের উপরে দাঁড়িয়ে না থাকতে পারে। এর পাশাপাশি মূল সড়কেই পাইপগুলো ছিল যেন কোনো যানবাহন উপরে উঠতে না পারে সেটার কথা চিন্তা করেও তারা উঁচু করে ধরে থাকতে পারে। তবে তারা পাইপ উঁচু করে না ধরলেও কোনো সমস্যা হতো না। সেখানেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উপস্থিত থাকে।

>>আরও পড়ুন: মধ্য বাড্ডায় মিষ্টির দোকানে আগুন

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এজেডএস/এসএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।