ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২৫ মার্চ সূর্যসন্তানদের হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দা প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
২৫ মার্চ সূর্যসন্তানদের হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দা প্রয়োজন

ঢাকা: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দেশের সূর্যসন্তানদের হত্যার কলঙ্কজনক ঘটনাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দা প্রয়োজন। ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ নানা পেশাজীবীদের হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীর উদ্দেশ্যে ছিল সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করা।

শনিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এটিএম জাফর আলমের ৫২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সময় শহীদ জাফরসহ যারা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে আহ্বান জানা তারা।

বক্তারা বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র অভিযানটি বাঙালির মুক্তি আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল। ‘অপারেশন সার্চলাইট ’ নামে এ অভিযানের মাধ্যমে ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তার ও গণহারে হত্যা করা হয়। যারা বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভয়াল এ গণহত্যার নীলনকশার প্রস্তুতি চলছিল অনেক আগে থেকেই। ঘটনাটিকে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা বলেও উল্লেখ করেন তারা।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করে বক্তারা আরও বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এমন ভয়ানক রাত আগে কখনও আসেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গা এ ভয়াল রাতের সাক্ষী। সে রাতের প্রথম প্রহরেই ইকবাল হলে জাফর আলম পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে নির্মমভাবে শহীদ হন। ভয়ংকর এ গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, এটিএম জাফর আলম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি। একাত্তরের ৭ মার্চের পর অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সমমনা বন্ধু প্রতিম নেতৃবৃন্দের কাছে শরণার্থীদের আশ্রয়দান বিষয়ক বার্তা পৌঁছে দিতেন। দায়িত্ব পালন শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত ও অসুস্থ অবস্থায় হলে ফেলেন ২৫ মার্চ। মধ্যরাতে হলের ছাত্রদের সংগঠিত করে পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে তিনি নিহত হন।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ এটিএম জাফর আলমের ভাই সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম। উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, শহীদ জাফরের বন্ধু সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।