ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলাভাইয়ের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলাভাইয়ের নামে মামলা

নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘরে একা পেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিয়োগ উঠেছে জেঠাতো বোনের স্বামী নয়ন চন্দ্র দাসের (৩২) নামে। এ ঘটনার পর থেকে নয়ন পলাতক রয়েছে।

রোববার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।  

এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ভিকটিমের নিজ ঘরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

আসামি নয়ন চন্দ্র দাস চরকিং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি সম্পর্কে ভিকটিমের জেঠাতো বোনের স্বামী। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।

ভিকটিমের মা জানান, নিজের বাড়িতে পানির কল না থাকায় পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান তিনি। এই সুযোগে আসামি নয়ন ঘরে ঢুকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর তিনি পানি নিয়ে বাড়ির দিকে এলে নয়নকে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন। তখন তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন তার প্রতিবন্ধী মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থা দেখে তিনি চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।  
 
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমিন জানান, রোববার সকালে ওই মেয়েটির ভাই আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলেছে। যেহেতু এটি আইনি বিষয় তাই আমি সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং নিজে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি।  

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, রোববার রাতে ওই তরুণীকে নিয়ে তার মা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেন। তখনই অভিযোগটি নারী নির্যাতন ও দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সোমবার সকালে ভিকটিমকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।