ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়ন সংস্থার নামে এমএলএম পদ্ধতিতে প্রতারণা, গ্রেফতার ১১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
উন্নয়ন সংস্থার নামে এমএলএম পদ্ধতিতে প্রতারণা, গ্রেফতার ১১

ঢাকা: ‘বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে তার আড়ালে ‘এমএলএম’ পদ্ধতিতে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন মো. আব্দুল কাদের নামের এক ব্যক্তি।  

রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় একটি বাড়ির ৬ষ্ঠ তালায় ছিল তার সেই প্রতিষ্ঠান।

মাসে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য বানানোর কথা বলত প্রতিষ্ঠানটি।  

এভাবে অনুদান হিসেবে জন প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতেন মো. আব্দুল কাদের ও তার প্রতারক চক্র।  

এবার র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ল সেই ‘এমএলএম’ পদ্ধতিতে প্রতারণা করা চক্রের ১১ সদস্য।

গ্রেফতাররা হলেন - প্রতারকচক্রের হোতা মো. আব্দুল কাদের, মির্জা নাসির উদ্দিন (২৫), মো. মাহফুজুর রহমান (৫০), এ আর আব্দুল মোমেন (৪৯), মো. মেহেদী হাসান (২৫), মো. আমজাদ হোসেন (৩৪), মো. মঞ্জুরুল হাসান খান (৩৫), মো. আব্দুল বারিক (৩৮), মো. রুহুল আমিন (২৫), মোছা. মুন্নি (৩০) ও মো. নিলুফা ইসলাম নিপা (৩৪)।  

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা’ প্রতিষ্ঠানে সদস্যদের দিয়ে এমএলএম আদলে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ করানো হতো। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মো. আব্দুল কাদের সদস্যদের বলতেন ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হবার পর বেতন ১০ হাজার টাকা হবে।

তার প্রতিষ্ঠানে সদস্যদের কাজ ছিল- কোনো দরিদ্র পরিবার অর্থাভাবে মেয়ে বিয়ে দিতে না পারলে এবং নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হলে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জানাতে। এমন সহজ চাকরির আশায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হবার পর তাদের জানানো হতো নতুন সদস্য আনতে হবে। নতুন সদস্য আনতে না পারলে বেতন হবে না। যদিও চাকরির সময় লোক সংগ্রহ করার বিষয়ে কিছুই জানানে হতো না।  

ভুক্তভোগীরা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়ে বেতন না পেয়ে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার অফিসে গেলে তাদের মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখাতেন আব্দুল কাদের ও তার সহযোগীরা।  

এমন প্রত্রিয়ায় আব্দুল কাদের কয়েক হাজার গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।  

লেফট্যানেন্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, অভিযান চালিয়ে এই চক্রটিকে আমরা গ্রেফতার করি। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১ জন ভুক্তভোগী, ৪ টি কম্পিউটার, ৪ টি ল্যাপটপ, ১৭ টি মোবাইল, নগদ ৯৭ হাজার ৩৮০ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ভাউচার, চুক্তিনামা,প্যাড, সীল ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।  
 
গ্রেফতার আসামিরা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬ ২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এসজেএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।