পিরোজপুর: পিরোজপুরের জেলা তথ্য কর্মকর্তা এম. এ. খালেক (৫২)-কে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অধীনস্ত কর্মচারীর স্ত্রী ও পুত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা তথ্য অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবু শহিদ বাংলানিউজকে জানান, ‘সকাল সাড়ে ৬টায় এম. এ. খালেক অফিসে গেলে তার অধীনস্ত কর্মচারী সাইন অপারেটর আবুল কালামের স্ত্রী বেবি (৪০) ও তার পুত্র ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। ’
এ সময় এম. এ. খালেকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকালে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন আহত এম. এ. খালেককে দেখতে হাসপাতালে যান এবং অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার এ.জেড.এম.নাফিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ‘কিছুদিন আগে তথ্য অফিসের সাইন অপারেটর আবুল কালামকে নীলফামারীতে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালামের স্ত্রী ও পুত্র এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ’
তবে জেলা তথ্য কর্মকর্তা এম. এ. খালেক এত সকালে অফিসে আসার কারণ রহস্যজনক বলে মনে করেন পুলিশ সুপার।
এদিকে, এম. এ. খালেকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ‘তিনি অফিসের পাশেই একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মিটিংয়ে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তাই, খুব সকালে অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জোগাড় করছিলেন।
এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবু শহিদ ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০