টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল গোপালপুরে শ্রমিকদের মাধররের জেরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকল ধরনের পরিবহন চলাচলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত এক বাসচালক তারেক বাংলানিউজকে জানান, ‘বুধবার রাত ১১টার দিকে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ কর্মী বলে পরিচয়ধারী নামধারী জিহাদ হোসেন মোটরসাইকেলে তেল নেওয়ার জন্য ফিলিং স্টেশনে যায়। যাওয়ার পথে গোপালপুর-ঝাওয়াইল সড়কে চলাচলকারী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে সে পড়ে যায়। `
এ ঘটনায় জিহাদ হোসেন ও তার বাবা আ. আজিজ হোসেন বাসটির চালক মামুনুর রশিদ ও সুপারভাইজার আব্বাছকে বেদম মারধর করে। এতে মামুনুর রশিদ ও আব্বাছ গুরুতর আহত হয়।
এর কিছুক্ষণ পর ঝাওয়াইল থেকে আরেকটি বাস গোপালপুরে প্রবেশ করলে সেই বাসেরও চালককে তারা বেদম মারধর করে। এতে বাসের চালক তারেকও গুরুতর আহত হয়।
পরে ঘটনাটি গোপালপুর শ্রমিক ইউনিয়নকে জানানোর পর তারা রাত ২টা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু আলোচনা ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় গোপালপুর উপজেলা থেকে ঢাকাগামী বাসসহ উপজেলার সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে টেম্পু, সিএনজি ও অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তারাও উপজেলার সকল সড়কে টেম্পু, সিএনজি ও অটোরিক্স চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী।
এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা বাস কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নূরুল ইসলাম হীরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। বাসের শ্রমিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরেই এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে বলে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে গোপালপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে মালিক সমিতি ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠক চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০