ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘রাতে ট্রাকভর্তি শতাধিক লোক এসে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
‘রাতে ট্রাকভর্তি শতাধিক লোক এসে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়’ হামলা ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া বাড়ি-ঘর

বান্দরবান: বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন পাড়ায় হামলা চালিয়ে লুটপাটসহ সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ভোর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে ট্রাকভর্তি শতাধিক লোকজন এসে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এ হামলার জন্য লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজের লোকজনকে দায়ী করছেন ভুক্তোভোগীরা।  

রেংয়েন পাড়ার বাসিন্দারা জানান, হামলাকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। পাড়ার অনেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। তাদের উচ্ছেদ করে জমি দখলের জন্য এ হামলা করা হয়েছে।

সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার হেডম্যান জোহান ত্রিপুরা বলেন, গভীর রাতে ১০-১৫ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী রেয়াংপাড়ায় গিয়ে প্রথমে কামরুম ম্রো, চিং চং ম্রো ও রেঙ ইয়াং ম্রো এর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পাশাপাশি আরও ১০টি বসতঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা সদস্য মো: আব্দুল মালেক।

তিনি জানান, ম্রোদের সঙ্গে জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ আছে সত্য। কিন্তু গভীর রাতে আমাদের পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা দূরে থাক, আমরা দিনের বেলায় পর্যন্ত সেখানে কম যাতায়াত করি।  

বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পাড়ার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনাটি ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন আমাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো:মোস্তফা জামাল বলেন, জমি নিয়ে লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজের সঙ্গে রেংয়েন পাড়ার ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। বিষয়টি প্রশাসন অবগত রয়েছে। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে ৫০ বারের মতো সমাধানের জন্য বৈঠক করেছি । কিন্তু ফল মেলেনি। আশাকরি দ্রুত সময়ে এই বিষয়টির সমাধান হবে।  

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের লাংকমপাড়া, রেংয়েনপাড়া ও জয় চন্দ্রপাড়ার চারিদিকে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৩০০ একর জুমক্ষেত। আর এরপর থেকে লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজের সঙ্গে ৩ পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চরমে পর্যায়ে পৌঁছায়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২,২০২২
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।