ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাহীন কলেজের সামনে চলন্ত সিঁড়ি বসছে: মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
শাহীন কলেজের সামনে চলন্ত সিঁড়ি বসছে: মেয়র বক্তব্য রাখছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সুবিধার্থে রাজধানীর তেঁজগাওয়ে বিএএফ শাহীন কলেজসংলগ্ন ফুটওভার ব্রীজে বসছে অত্যাধুনিক এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি)।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক্স শাহীন এসোসিয়েশন ঢাকা (ইসাদ) এর পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এই ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমি নিজেও গর্বিত শাহীন। ঢাকায় যতগুলো কলেজ আছে, তারমধ্যে শাহীন কলেজ হল মাল্টিপ্লেক্স। এই মাঠে আমরা বাস্কেটবল, ভলিবল খেলেছি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, বিদ্যার্জন সহজ, কিন্তু সুশিক্ষা অর্জন করা সহজ নয়। শাহীন কলেজ থেকে আমরা সে ‘শিক্ষা’ অর্জন করেছি। বড়দের শ্রদ্ধা করা, ছোটদের ভালবাসার যে শিক্ষা সেটি পেয়েছি। শাহীন স্কুল আমাকে আজকের অবস্থানে আসতে সাহায্য করেছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এই স্কুল থেকে আমরা যা শিখেছি, এই ঋণ শোধ করতে পারব না। শেখ কামাল ভাই এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি যে ক্রীড়া অন্তপ্রাণ সেটি এখান থেকে শিখেছেন। পাশাপাশি মানুষের ভালবাসার যে গুণ সেটি আমরা এখান থেকে পেয়েছি।

তিনি বলেন, একটা ল্যাবেরটরি করে দিয়েছি, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের প্যান্ডেমিক চলাকালীন খাবার নিশ্চিত করেছি। ইসাদের মেম্বারদের মধ্যে যদি কেউ মারা যায়, তাদের সন্তানদের আমরা সহায়তা দিয়ে আসছি।

মেয়র আরও বলেন, ২০১৭ সালে আমরা বলেছি, আমরা শাহীন ক্লাব করেছি। এবং এটি বাস্তবে পরিণত করেছি। ক্লাবটা করা হয়েছে যারা বিভিন্ন শাহীন স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছি, সব শাহীন স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এই ক্লাবের মেম্বার হবে। এছাড়া, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং এভোব যারা হবে তারা শাহীন কলেজের সম্মানিত সদস্য হবেন।

এ সময় প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মেয়র বলেন, ক্লাবের জন্য ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা চাই এবং শেখ কামালের নামে একটা লাইব্রেরি বা একটি স্থাপনার নামকরণ করতে চাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, আমি এখানে আসতে পেরে আনন্দিত। এখানকার ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শাহীন কলেজ মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য প্রশংসা পেয়ে আসছে। পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রেখেছে। একজন শিক্ষক একজন সামাজিক পথ-প্রদর্শক। শিক্ষকরা হল বাতির মতো। যারা নিজেদের আলো দিয়ে অন্যদের আলোকিত করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএএফ শাহীন কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুর রহমান, ইসাদের প্রাক্তন সভাপতি ও উপদেষ্টা জিয়া শামসি, বিএএফ শাহীন কলেজের প্রিন্সিপাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে এম আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এমকে/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।