ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ ব্রিফিংয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
শেষ ব্রিফিংয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ব্রিফিং করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ঢাকা: মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বিদায় বেলায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

 

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।  

চুক্তির মেয়াদ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তার জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। মন্ত্রিসভার ব্রিফিং সাধারণত মন্ত্রিপরিষদ সচিবই করে থাকেন, আজ এটা তার শেষ ব্রিফিং।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই, আজ অফিসিয়ালি আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে শেষ (ব্রিফিং) সভা। আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। এতে ভুল ত্রুটি হয়েছে, দেশবাসীর কাছে অনুরোধ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।  

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল বলেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ‘আই হ্যাভ রিটায়ার্ড’। এখন দেখা যাক কী করা যায়।

সরকার যদি কোনো প্রকল্প বা কোনো খাতে যদি আপনাকে অফার করে? এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।  

সরকারের সঙ্গে থেকে আপনার কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা এ বিষয়ে অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি তো দায়িত্ব পালন করেছি সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে। ‘ধন্যবাদ, আপনাদের কথাও স্মরণ থাকবে। আপনাদের সবার প্রতি আমার দোয়া রইলো। ’ 

দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের মধ্যে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। যেমন- ডিজিটাল বাংলাদেশ, গুড গর্ভনেস, রাইট টু ইনফরমেশন, এনআইএস।   

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে যে কয়জনের হাতে হয়েছে তার মধ্যে আমি ছিলাম। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের দুটি থিম দিয়েছেন, সার্ভিস অ্যাট দ্য ডোর স্টেপস ফর দ্য পিপল এবং সার্ভিস অ্যাট দ্য ফিঙ্গার ফর দ্য পিপল। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন তোমরা বাস্তবায়ন করবে, যা লাগবে টাকা পয়সা দিয়ে দেব। আমরা এক দিনেই ৪ হাজার ৫শ’ ইউনিয়নে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার করা শুরু করেছিলাম। আমার ওপর দায়িত্ব ছিল চর কুঁকড়িমুকড়িতে। সেখানে আমার হাত দিয়ে হ্যান্ড্রেল হয়েছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে সুফল তার সঙ্গে আমি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম। ’ 

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মাসেতুটা ভালোভাবে করার ফলে অন্যান্য মেগা প্রজেক্টগুলো সফল হয়েছে। আমি সেটায়ও সম্পৃক্ত ছিলাম। কিন্তু করোনা আমাদের কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।