ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রুপালি ইলিশের আড়ত ফাঁকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
রুপালি ইলিশের আড়ত ফাঁকা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা থেকে রুপালি ইলিশ মিলছে কম। শীত মৌসুমে সাধারণত এ পরিস্থিতি চোখে পড়ে।

নদীতে ইলিশের অভাব থাকায় জেলে ও ব্যবসায়ীদের মন্দা অবস্থা চলছে। আড়তগুলো প্রায় ফাঁকা।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে এ পরিস্থিতি চোখে পড়ে। অল্প কিছু রুপালি ইলিশ বাজারে এলেও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তাৎক্ষণিক। মাছ ব্যবসায়ীরা কাটাচ্ছেন অবসর সময়।

জানা গেছে, হরিণা ফেরিঘাটের ১০টি আড়ত ইলিশ খরায় ভুগছে। কয়েকজন আড়তদার তাদের পেটরা খুলে বসে আছেন ঠিকই, কিন্তু মাছ নেই। ক্রেতার সংখ্যাও শূন্য। সকালের পর স্বল্প সংখ্যক ইলিশ আড়তে এলেও বিক্রি হয়ে যাওয়ায় বেকার বসে আছেন সংশ্লিষ্টরা।

হরিণাঘাটে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করে আসছেন সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এ বছর মৌসুমে চলাকালীন ইলিশ কম ছিল। শীত আসায় নদীতেও এর সংখ্যা কমে গেছে। ইলিশের জালে উঠে আসছে পাঙ্গাশ, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সে সংখ্যাও কম।

ব্যবসায়ী বিল্লাল বলেন, মাছ না থাকলেও আড়তে আসতে হয়। এ সময় পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে লেনদেন হয়। স্বল্প সংখ্যক ইলিশ মিলেছে। কিন্তু দাম চড়া। ছোট সাইজের অর্থাৎ ৩০০থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায়। তবে বড় সাইজের ইলিশ খুবই কম। পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।

চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার ও ওয়ারলেছ বাজারে দেশিয় রুই, কাতল, মৃগেল, পাবদা, পোয়া ও তেলাপিয়া মাছের আধিক্য দেখা গেছে। যে কজন কিছু রুপালি ইলিশ এনেছেন, বিক্রি করতে পারছেন না। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

চাঁদপুরের ইলিশের পাইকারি বাজার বড় স্টেশন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী হজরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, সাগরের ইলিশের আমদানি নেই। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায়ও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মচারী খরচ দেওয়ার মতো অবস্থান নেই ব্যবসায়ীদের। শীত মৌসুমে ইলিশ কম পাওয়া যায়। তবে সাগরে ইলিশ ধরা পড়লে আমাদের আড়তেও আমদানি হয়। তাই কেউ কেউ এখন দেশিয় প্রজাতির হ্যাচারি থেকে আসা মাছ পাইকারি বিক্রি করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার পর সাগরে চলে যায়। কারণ, এ সময় পদ্মা মেঘনা নদীতে ইলিশের খাবার কম থাকে। এরপর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে জাটকাসহ ইলিশ আবার সাগর থেকে পদ্মা মেঘনায় আসে।  যে কারণে এখন নদীতে মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।