ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

করোনার ঈদে খাবারেও বাড়তি সতর্কতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
করোনার ঈদে খাবারেও বাড়তি সতর্কতা ঈদের খাবার

ঈদও হলো না করোনা মুক্ত। চার দিকে আতঙ্ক শুধুই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের। ঈদ যেমন ধর্মীয় উৎসব, তেমনি প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ারও উৎসব। প্রতিবছর  ঈদে নিজের সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে কিছু সময় বের করে সবাই ছুটে চলে প্রিয় মানুষদের কাছে।কিন্তু এবারের ঈদের চেহারা একে বারেই ভিন্ন। শুধু নিজের বাড়িতে থেকেই কাটছে প্রায় সবার ঈদ। 

 ঘরেই রযেছি, তাই অবসর, আনন্দ আর পুরো মাসের সংযম-সাধনার পর খাবার-দাবারের ব্যাপারে সবাই হয়ে উঠেছে বেশি মাত্রায় আগ্রহী। এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিনই প্রথম যেদিন রোজা থাকতে হয় না।

শিশু ও তরুণরা একটু বেশি খেতে পারলেও বয়স্ক ও রোগীদের বেলায় মুখরোচক খাবার বিপদ ডেকে আনে। ঈদের উৎসবে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে: 

ঈদের পর দিন থেকেই পোলাও, বিরিয়ানি, রেজালা কিংবা আন্যান্য তেলযুক্ত খাবার পরিমাণমতো খেতে হবে। ডায়াবেটস থাকলে মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির পরিবর্তে আর্টিফিসিয়াল সুইটেনার দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত তেল মশলার খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই খাবারে বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত। গরমের সময় ঈদ, আবার বেশি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, ডায়ারিয়া, টক ঢেকুরসহ নানা সমস্যা হয়। তাই খাবারের শেষে সালাদ, পরিমাণমতো ফল, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।


করোনার এই সময়ে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য গরু-খাসির ফ্যাট এককথায় হারাম। রান্নার পরে ওপরে যে তেল টা ভাসতে থাকে সেটা ফেলে দিয়ে শুধু মাংসটুকু খেতে হবে। দৃশ্যমান সাদা বা হলদে চর্বি ফেলে দিন। রান্না করা মাংস রেখে দিলে জমাট বেঁধে যে অংশটুকু ওপরের দিকে থাকে সেটা পুরোটাই ফ্যাট। এই অংশটুকু ফেলে দিন।

যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য দৈনিক মাংসের পরিমাণ ডাক্তার নির্ধারণ করে দেন। ঈদের সময় এসব ক্ষেত্রে একটু কষ্ট হলেও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।