আমরা অনেকেই আছি, যাদের সারাদিন ক্লান্তি লাগে। ঘুমের আগে ক্লান্তি।
নানা কারণেই ক্লান্তি আসতে পারে শরীর ও মনে। তবে শহুরে মানুষদের যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তেমন সাতটি বিষয়টি তুলে ধরা হলো:
পানিশূন্যতা
শরীরে ক্লান্তির একটি বড় কারণ পানিশূন্যতা। সারাদিন অন্তত ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন। তাহলে শরীর হালকা লাগবে। যারা শরীরচর্চা করেন, তারা এর আধা ঘণ্টা আগে দুই গ্লাস পানি পান করুন।
হৃদরোগ হলে
প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে ক্লান্তি ভর করলে বা অল্পতেই শরীর দুর্বল হয়ে ঝিমুনি ভাব চলে এলে, বুক ধড়ফড় করলে, বুকের মাঝখানে চাপ অনুভব করলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ, হৃদরোগও হতে পারে আপনার অজানা ক্লান্তির উৎস।
খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো না হলে
খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো না হলে ক্লান্তি কাটানো কঠিন। অনেকেই সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যখন খিদে পেল বা সময় হল, তখনই খেয়ে নেন। তাতে শরীর সময় মতো পুষ্টি পায় না। ফলে কর্মশক্তিও কমতে থাকে।
ঘুমের ঘাটতি থাকলে
এককালে ছিল টিভি দেখার নেশা। এখন তার সঙ্গে স্মার্টফোন, কম্পিউটারের মতো নানা ধরনের জিনিস যোগ হয়েছে। এসবের টানে কমছে ঘুমের সময়। তাই প্রয়োজন মতো বিশ্রাম পাচ্ছে না শরীর। ক্লান্তিও কাটছে না।
দেহে ওজন বাড়লে
শরীরের ওজন যত বেশি হবে, যেকোনো কাজেই তত বেশি খাটনি হবে। ফলে অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হবে। তাই স্থূলতার কারণেও কাটতে চায় না ক্লান্তি।
মানসিক চাপে থাকলে
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নির্ভর করে ক্লান্তি। টানা মানসিক চাপ থাকলে তার চাপ গিয়ে পড়ে পেশিতেও। মাথাব্যথা, পেটের সমস্যাও লেগে থাকে। সব মিলে ক্লান্তি থেকে যায়।
ডায়াবেটিস হলে
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হল ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ।
এএটি