অনেকেই দিন শুরু করেন এক কাপ কফি খেয়ে। অনেকে আবার দীর্ঘক্ষণ কাজ করার জন্য বার বার কফি পান করতে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফিতে থাকে ক্যাফিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি, সাময়িকভাবে স্নায়ুকে সতেজ করতে বেশ কার্যকর। তাই কফি খেলেই অনেক সময় সতেজ লাগে। কিন্তু এটি ছাড়াও কফির একাধিক বৈশিষ্ট্য আছে। কফি অ্যাসিডিক অর্থাৎ অম্ল এবং ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক। সহজ করে বলতে গেলে, কফি একদিকে যেমন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই শরীরের কিছু অত্যাবশ্যক সংস্থানকে কমিয়েই দিতে পারে।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের মানসিক দুশ্চিন্তার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কফির ওপর নির্ভরতা বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এই ধরনের সমস্যায় ভোগা মানুষদের ক্ষেত্রে, কফির প্রভাবে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে, যা সাময়িকভাবে উত্তেজনার অনুভূতি তৈরি করে। বাড়িয়ে দেয় করটিসল হরমোনের মাত্রাও। কিন্তু যেই মুহূর্তে প্রভাব ফুরিয়ে আসে তখনই দেখা দেয় সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। যা ‘ক্রনিক স্ট্রেস’ বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। কাজেই মানসিক চাপ থাকলে কফি খেতে পারবেন কি না তা বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞেস করে নেওয়াই ভালো।
এএটি