ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় দুইজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
হত্যা মামলায় দুইজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

সিলেট: সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের শ্রমিক মেরাজ আলী হত্যা মামলায় দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার ওপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
 
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
রায়ে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলীখাল নয়াগাঁওয়ের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. জাকারিয়া হোসেন (৩৩) ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গণেশপুর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে আক্তার হোসেন উরফে আক্তার উদ্দিন (৩১)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. খালেদ মিয়া (৩৩)। ‍তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামের আব্দুল গণির ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্তরা সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
 
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ভোলাগঞ্জ গুচ্ছুগ্রামের হানিফ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া ও তার সহোদর রুহেল মিয়া, একই গ্রামের মো. মাসুদ খানের ছেলে পারভেজ খান এবং ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জের শক্রমর্দন পাগলা গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া।
 
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে খুন হন দিনমজুর মো. মেরাজ আলী (২৩)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাড়ুয়া বাজার নোয়াগাঁও জাতিরটুক গ্রামের মো. আব্দুস ছালামের ছেলে। পূর্ব বিরোধের জেরে রাতে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দুর্বৃত্তরা মেরাজ আলীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা পতিঙ্গা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র দাশ ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (নং-১৪৭) দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি চার্জগঠন করে বিচারকার্য্য শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
 
আদালতের বিচারক আসামি মো. জাকারিয়া হোসেন ও আক্তার হোসেনকে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং একই ধারায় মো. খালেদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
 
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ড. ফৌজিয়া ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Alexa