ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আবেদন খারিজ, আসলামের বিরুদ্ধে ৩২৫ কোটি টাকার মামলা চলবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
আবেদন খারিজ, আসলামের বিরুদ্ধে ৩২৫ কোটি টাকার মামলা চলবে

ঢাকা: বেসরকারি একটি ব্যাংকের ৩২৫ কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা বাতিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (০৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ চট্টগ্রামে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী ও দুই ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

অন্য তিন আসামি হলেন—আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।

এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল লিমিটেডের নামে ৩২৫ কোটি ৭৫ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরাতন জাহাজ কেনার জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।

রাইজিং স্টার লিমিটেড ওই শাখায় প্রথম এলসি খোলে ২০০৮ সালে।  দুই বছর পর প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দামে পুরনো জাহাজ আমদানি করে তা বিক্রি করলেও ব্যাংকের ঋণ পুরোটা পরিশোধ করেনি।

প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংক ২০ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পাওনা থাকার পরেও ২০১১ সালে আরও একটি এলসির মাধ্যমে একটি জাহাজ আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এই এলসির বিপরীতেও প্রতিষ্ঠানটি ২৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার ঋণ পরিশোধ করেনি।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৬৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা ও ২০১৩ সালে ১৩৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার দুটি এলসির বিপরীতে আরও দুটি জাহাজ আমদানি করে তা বাজারে বিক্রি করলেও কোনো টাকা পরিশোধ করেনি।

বিপুল পরিমাণ ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ১৭ কোটি ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তির দুটি দলিল ও তিনটি চেক জামানত হিসেবে দেয়। জামিনদার ছিলেন আসলাম চৌধুরী নিজেই।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দণ্ডিবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করা হয়।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকার উৎখাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন আসলাম চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।