ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

খুলনা: ছয় কোটি ৭৫ লাখ (পৌনে ৭ কোটি) টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনায় জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী।

তবে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এসময় মিলের গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে দুদকের টিম সরেজমিনে গোডাউনে গেলে সেখানে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ব্যাংকের ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জেলা দুদক কর্মকর্তা আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন ( মামলা নং- মহানগর বিশেষ ৮/২০)।

মামলায় মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিন মোল্লা, গুদাম রক্ষক দিলিপ কুমার অধিকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে আসামি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালে চার্জশিট দেন।

আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, পুরাতন এই মামলার আসামি আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খুলনায় আনা হলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন না-মঞ্জুর করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।