ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনে রুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনে রুল  অভিনেতা সোহেল চৌধুরী

ঢাকা: চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রুলে নথি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচার দ্রুত শেষ ও নথি গায়েবের বিষয়ে তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।

এর আগে, ৩০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়ার পক্ষে আইনজীবী আবু জোবায়ের হোসাইন সজিব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ ছয়জন বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিতে ব্যর্থ হলে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।  

নোটিশে দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিউজ যুক্ত করা হয়।  

গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।