ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অন্যের হয়ে কারাভোগ: আইনজীবী কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
অন্যের হয়ে কারাভোগ: আইনজীবী কারাগারে প্রতীকী

ঢাকা: পরিচয় বদল করে অন্যের হয়ে কারাভোগের ঘটনায় রাজধানীর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা জালিয়াতির মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রকিব রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত সংলগ্ন রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহমুদুর রহমান রিমান্ডের বিষয়টি জানান।

এ মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ভাই বড় সোহাগের হয়ে যাবজ্জীবন কারাভোগকারী মো. হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেফতার হন বড় সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি।

২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় এই মামলা করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন—আসল সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ, নকল সোহাগ, এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহীম হোসেন। এছাড়াও অজ্ঞাতানামা কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসমর্পণ করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় মর্মে জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতি করে উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে এসব সৃজন করে তা সঠিক মর্মে দাবি করেন। তা ব্যবহার করে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে আদালত আত্মসমর্পণ করিয়ে একজন অপরজনের নামে সাজা ভোগ করিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।