ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পি কে হালদারের বান্ধবী রুনাইসহ ৩ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
পি কে হালদারের বান্ধবী রুনাইসহ ৩ জন রিমান্ডে

ঢাকা: প্রায় সত্তর কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী ও তার মালিকানাধীন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাইসহ তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ রবিউল আলম রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর দুজন হলেন—ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান এবং সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী।

এদিন বিকেল বিকেল ৪টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

দুদক কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলেও বিচারক তাদের বক্তব্য জানতে চান। তারা বলেন, আমরা অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করেছি। তখন বিচারক বলেন, অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সত্তর কোটি টাকা দিয়ে দেবেন! এরপর শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভারপ্রাপ্ত এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই এবং সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া/অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্রাদি প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে উক্ত অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন।

সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মাধ্যমে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্মকর্তা ও বোর্ড সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৭০ কোটি ৮২ লাখ তুলে আত্মসাৎ করেন।

পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অপরাধ করেছেন। এই সব অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১/আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।