ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মশা মারতে এবার দুই সিটির সমন্বিত অভিযান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
মশা মারতে এবার দুই সিটির সমন্বিত অভিযান

ঢাকা: মশা মারতে এবার সমন্বিত (কম্বাইন্ড) অভিযান চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানানোর পর বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পরবর্তী আদেশের জন্য মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ঠিক করেছেন।  

আদালতে ঢাকা উত্তর সিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণ সিটির পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে আদালতের তলবে হাজির হন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।

সকালে এ দুই কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর আদালত দুপুরের মধ্যে কোনো প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ আনা হবে তা হলফনামা আকারে জানাতে বলেন।

দুপরের পর আইনজীবীরা আদালতকে জানান, যে ওষুধ আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সেটা ২০০৫ সালে ব্যবহারের পর অনেক সমস্যা হয়েছিল। মামলাও হয়েছিল। তাই বর্তমান যে ওষুধ আছে সেটার ডোজ বাড়িয়ে দিতে হবে। আগে যদি দুইবার ছিটাতো সেটা এখন ৪/৫ বার ছিটাবে। এছাড়া দুই সিটি একসাথে তথা কম্বাইন্ড অপারেশন (সমন্বিত অভিযান) চালাবে। ৩/৪ দিন সময় দিলে এ অভিযানের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করবে। এছাড়া নতুন ওষুধ আনার প্রক্রিয়াতে এক মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

পরে আদালত এ আদেশ দেন। গত ২২ জুলাই তাদের তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৪ জুলাই এক আদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের বাহক এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিতে ডিএসসিসি ও ডিএসসিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।

সে অনুসারে ২২ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। এরপর ২৫ জুলাই এই দুই কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর ১৪ জুলাই (রোববার) রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন আদালতের।

রুলে এডিস মশা নিমূর্লে ও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এরকম রোগ ছড়ানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না এবং এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, এলজিআরডি সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad