ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিএনজিচালক হাসমত হত্যায় ৮ ছিনতাইকারীর ৬০ বছর কারাদণ্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
সিএনজিচালক হাসমত হত্যায় ৮ ছিনতাইকারীর ৬০ বছর কারাদণ্ড

ঢাকা: ঢাকায় ২০০৭ সালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হাসমত আলী মোল্লা হত্যার দায়ে আট ছিনতাইকারীকে ৬০ বছরের করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ জুন) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। ।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই আটজনকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-স্বপন ওরফে রাজু, সেলিম শেখ, মো. জামাল হোসেন, আকবর, শেখ ফরিদ, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ওরফে মির্জা, মফিজ শেখ ও কাদির মোল্লা ওরফে কাদির।

রায়ে দু’টি ধারায় আসামিরা দোষী সাবস্ত হন এবং প্রত্যেক ধারায় যাবজ্জীবন (৩০ বছর করে) সশ্রম কারাদণ্ডিত হন। আদালত আদেশে বলেন, একটি দণ্ড শেষ হলে অপর দণ্ড কার্যকর শুরু হবে।

মামলার অভিযোগে বাদী হাসমত আলী মোল্লার ছেলে মো. বাবু মোল্লা জানান, হাসমত আলী আট বছর ধরে ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি সিএনজি নিয়ে বের হন। সেদিন রাত ১১টার সময় তার দুঃসম্পর্কের নানা শহিদুল ইসলাম খবর দেন যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে হাসমত আলী মোল্লার মরদেহ আছে। তখন স্বজনরা সেখানে যান।

এর পরদিন বাবু মোল্লা বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকালে আসামিদের গ্রেফতার করা হলে স্বপন, জামাল, ফরিদ ও কাদির ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক সিএনজি ছিনতাই ও হাসমত আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, সিএনজি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চায়ের সঙ্গে নেশার গুঁড়ো মিশিয়ে হাসমত আলীকে খাইয়ে পরে সিএনজির ভেতরেই তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। এরপর তাকে ফেলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবির পরিদর্শক এসএম শফিউল আজম ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছর ২৭ আগস্ট আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালত এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯ 
এমএআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।