ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

ট্রাইব্যুনালে প্রথম দিনের জবানবন্দিতে যা বলেছেন নাহিদ ইসলাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৪, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
ট্রাইব্যুনালে প্রথম দিনের জবানবন্দিতে যা বলেছেন নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের জবানবন্দি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী জবানবন্দির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন।

 জবানবন্দিতে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম।

২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। আমি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আহ্বায়ক। ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ নং সমন্বয়ক ছিলাম। ২০১৮ সালে আমি প্রথম কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হই। কোটা সংস্কারের জন্য একটি বড় ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল এই আন্দোলনের দমনের জন্য পুলিশ ও ছাত্রলীগ শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রলীগ রাতের বেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে গিয়ে আক্রমণ করে। এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন। যদিও আমরা চেয়েছিলাম কোটা সংস্কার, তবে সরকার কোটা পদ্ধতি সম্পূর্ণ বাতিল করে। তবুও আমরা এটিকে আপাতত মীমাংসা হিসেবে ধরে নিয়ে ছিলাম। এ ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও এ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের গ্রেপ্তার শুরু করে এবং ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করে। পরে সরকার কোটা বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সরকারের আচরণে আমরা বুঝতে পারি যে, সরকার আন্দোলন দমনের জন্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোটা বাতিল চায়নি।  

‘কিছুদিন পর শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন যে, আমি রাগের বশবর্তী হয়ে কোটা বাতিলের কথা বলেছি। আমরা ইতোমধ্যেই আশঙ্কা করেছিলাম যে, কোটা প্রথা আবার ফিরে আসতে পারে। ’

ডাকসু নির্বাচন-২০১৯

২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়। আমি সে নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনে অনিয়মের মাধ্যমে আমাদের জিততে দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ পদে ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের গণরুম-গেস্টরুম নির্যাতন কালচারসহ অন্যান্য অনিয়ম অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হই। ২০২৩ সালে আমরা ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। ছাত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করা এবং বিভিন্ন অনিয়ম দূর করাই ছিল এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য। ’ 

২০২৪ এর আন্দোলনের শুরু যেভাবে

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষাপট নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৫ জুন সরকারের কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল পূর্বক কোটা প্রথা পুনর্বহাল করেন। ওই তারিখেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করি। পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়। আমরা হাইকোর্টের উক্ত রায়টি স্থগিত চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে স্মারকলিপি দেই। ৩০ জুনের মধ্যে কোটা সংস্কার সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। ৩০ জুনের মধ্যে সরকার কোনো রূপ সাড়া না দেওয়ায় আমরা ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহাল পূর্বক কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করি। ২, ৩ ও ৪ জুলাই আমাদের আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ছিল। ৪ জুলাই আপিল বিভাগে কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ও আদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও সেদিন কোনো শুনানি হয়নি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন বিধায় সরকারের কিছু করার নেই। কোনো বক্তব্য থাকলে তা আদালতে গিয়ে বলতে বলা হয়। ’

‘ তখন আমরা জানতাম বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার পরিকল্পিতভাবে কোটা প্রথা পুনর্বহাল করে। সে কারণে আদালতে না গিয়ে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখি। ’

আন্দোলন বেগবান নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলন তীব্রতর করার লক্ষ্যে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে ৭ জুলাই সারাদেশে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করি। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ১০ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে এক মাসের স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করে। আমরা এতে হতাশ হই এবং নিশ্চিত হই যে, বিচার বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। অতপর আমাদের দাবি কিছুটা পরিবর্তন করে সরকারি চাকরিতে সব পর্যায়ে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার দাবি করি। ’

আন্দোলনে বাধা

আন্দোলনে বাধা বিপত্তি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্দোলনের এ পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হই। আমরা কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর গেট ছাত্রলীগ বন্ধ করে দেয় যাতে ছাত্ররা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন। আমাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেওয়া হয়। সারাদেশেই এ ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবুও সব বাধা অতিক্রম করে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখি। সারাদেশের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করি। ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেই।  

রাজাকার প্রসঙ্গ

১৪ জুলাই রাতে শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ অভিহিত করে কোটা প্রথার পক্ষে অবস্থান নেন। মূলত এ বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের একটি বৈধতা দেওয়া হয়। সবসময় দেখেছি, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করা হলে তাদের ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের ন্যায্যতা নস্যাৎ করা হতো। ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি’ আখ্যায়িত করায় সমগ্র দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেন। সেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল উক্তরূপ বক্তব্য প্রত্যাহার পূর্বক আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

ছাত্রলীগের হামলা

ছাত্রলীগের হামলা নিয়ে তিনি বলেন, ১৫ জুলাই আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেই। একই দিন ছাত্রলীগ পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেয়। সেদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন যে, ‘আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ’ তার এ ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। নারী শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক হামলা চালানো হয় কারণ তারা আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে ছিলেন। হামলাকারীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক সৈকত এ হামলায় নেতৃত্ব দেন। তারা বাইরে থেকেও সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করেছিলেন। এ হামলায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-ছাত্রীদের ওপরও তারা নির্যাতন চালায় এবং চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়।

আবু সাঈদ-ওয়াসিম হত্যা

চট্টগ্রামে ও রংপুরে গুলিবর্ষণ নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৬ জুলাই এই হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেই। এ তারিখে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। চট্টগ্রামে ওয়াসিমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ছয় জন ওই দিন আন্দোলনে শহীদ হন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ১৭ জুলাই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়। সেদিন যাত্রাবাড়ীতে একজন আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়। সেদিন বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে ফেলে। গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল শুরু করলে পুলিশ মিছিলের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ আমাদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। সেদিন ডিজিএফআই আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপের জন্য চাপ দেয়। হলের বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারের সঙ্গে সংলাপে আমরা অস্বীকৃতি জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাই।  

‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৭ জুলাই রাতে দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করি। আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করা হয়েছে বিধায় আমরা সারা দেশের সব শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনগণকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাই। আমাদের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই সারাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র জনতা রাস্তায় নেমে আসে। বিশেষত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সেদিন রাজপথে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আমরা আন্দোলনের নেতারা জীবনের হুমকির মুখে পরি এবং গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যাই। সেদিন সারাদেশে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হয়। রাতে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইভাবে ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপরে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হয়। ১৯ জুলাই আমরা বুঝতে পারি যে, সরকার ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। আমাদের আন্দোলনের এবং আহত ও নিহতদের কোনো খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিলো না।
   
এর আগে ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে দৈনিক আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে।

এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
 
এর আগে গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
 
এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ