ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ফের পেছাল খালেদার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
ফের পেছাল খালেদার কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

ঢাকা: কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনের কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি ফের পিছিয়েছেন আদালত। শুনানির নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে ১৮ জুলাই। 

খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বুধবার (১৯ জুন) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে তার আইনজীবীরারা সময় বাড়ানোর আবেদন জানান।  

আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলাটির স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা আবেদনের রুল খারিজ করে দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  

এদিকে মামলার আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।  

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি সংখ্যা ছিল ১৩ জন। চারজন মারা যাওয়ায় এখন এ আসামির সংখ্যা ৯।

মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।  

২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে।  

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুন ১৯,২০১৯
এমএআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad