ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরো ৪ পুলিশ সদস্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
হলি আর্টিজান মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরো ৪ পুলিশ সদস্য হামলার পর হলি আর্টিজান হামলা। ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও চার পুলিশ সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন ।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী তাদের হাজিরা দাখিল করেন।  

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৫ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সাক্ষীরা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাহেদ মিয়া, গুলশান জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কনস্টেবল মো. বাদশা ও অঞ্জন সরকার।

সাক্ষ্যে পুলিশ সদস্যরা বলেন, হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। পুরো সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা।  

এর আগে গত ১৩ জুন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন- পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মাদ ইয়াসিন গাজী, নায়েক মো. লুৎফর রহমান, কনস্টেবল পলাশ মিয়া, কনস্টেবল মো. মাহফুজুর রহমান ও কনস্টেবল মো. খোরশেদ আলম।

এছাড়া গত ২৭ ও ২০ মে মামলার বেশ কয়েকজন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য তুলে ধরেন।  

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।  

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় তারা। এতে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।

এরপর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

একই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাতে এ মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদ ওরফে রিপনকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের একটি বাস থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  

আর আরেক আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সবুর খানকে ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সব আসামিকে কারগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।