প্রতীকসহ দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় জামায়াতে ইসলামী এখন বাংলাদেশে স্মার্ট রাজনৈতিক পরিবেশ গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে- এমনটি মনে করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশন প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এই আইনজীবী এমন মন্তব্য করেন।

নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার পর শিশির মনির বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে, এমনটি সবার প্রত্যাশা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে জামায়াতে ইসলামীর এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হবেন, এটাও আমরা প্রত্যাশা করি।  

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এখন বাংলাদেশে স্মার্ট, ইফেক্টিভ, ইনোভেটিভ এবং ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক এনভায়রনমেন্ট গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও জামায়াতের ভূমিকা হবে অনন্য অসাধারণ।  

‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য জামায়াতে ইসলামী তার সব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে। আশা করি এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন নতুন ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সৃষ্টি হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ইনক্লুসিভ রাজনীতি করার ক্ষেত্রে সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাও আমরা প্রত্যাশা করি, নতুন প্রজন্মের লোকেদের নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অবশ্যই দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সিদ্ধান্ত নেবে, যা সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।  

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে ১৪ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের দলটির নিবন্ধন বাতিল করে সংস্থাটি। পরে জামায়াতে ইসলামীর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুন হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নিবন্ধন পুনর্বহাল করা হয়।   

এর আগে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পর দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিল করে ইসি।

ইএস/আরএইচ