ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চায়ের বিল নিয়ে ঝগড়ায় চাচা শ্বশুরকে হত্যা, জামাইয়ের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
চায়ের বিল নিয়ে ঝগড়ায় চাচা শ্বশুরকে হত্যা, জামাইয়ের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর: তিন টাকা চায়ের বিল দেওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে মেহেরপুরের গাংনীতে চাচা শ্বশুর কাজিমুদ্দিন দফাদারকে হত্যার দায়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে  যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ্ এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম কাজীপুর মাঠপাড়ার রোমজিতের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে কাজীপুর মাঠপাড়ার কাজিমুদ্দিন ও তার ভাতিজির স্বামী শরিফুল ইসলাম একই এলাকার নাজিমুদ্দিনের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। পরে চায়ের তিন টাকা বিল দেওয়াকে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। শরিফুল এর একপর্যায়ে কাজিমুদ্দিনের পুরুষাঙ্গ চেপে ধরেন আর কয়েকজন তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই কাজিমুদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত কাজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদ বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় শরিফুল, রোমজিত, খোকা দফাদারের ছেলে নাজিম, মজনু, মজনুর ছেলে মনির, নাজিরের ছেলে জিয়া, পচু, নাজিমুদ্দিনের মেয়ে মঞ্জু, মিনা এবং তার স্ত্রী মহিমাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে শরিফুল, মঞ্জু বেগম, মিনা, মহিমা, রমোজিত ও নাজিমউদ্দিনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট নয়জনের সাক্ষ্য  নেন আদালত। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় শরিফুল ইসলামকে এ সাজা দেন বিচারক। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি পল্লব ভট্টাচার্য। আসামি পক্ষে ছিলেন একেএম শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।