ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

আল্লাহর প্রশংসায় কাজে বরকত হয়

মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫
আল্লাহর প্রশংসায় কাজে বরকত হয়

প্রত্যেক কাজ শুরু করার আগে আল্লাহতায়ালার নাম উচ্চারণ করা ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি রীতি। এর ফলে আল্লাহতায়ালার সাহায্য ও সহযোগিতা পাওয়া যায়।

পাশাপাশি অভিশপ্ত শয়তানের চক্রান্ত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। প্রশ্ন হতে পারে- আমরা কোন কারণে আল্লাহর প্রশংসা করব? উত্তরে আলেমরা বলেছেন, দুই কারণে আল্লাহর প্রশংসা করতে হবে।

এক. আল্লাহতায়ালা বিশেষ গুণ ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।
দুই. তিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহকারী।

আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব এবং মানুষসহ সৃষ্টিজীবের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহের কারণে তার প্রশংসা করতে হবে। আর মানুষ হিসেবে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করব এ জন্য যে, তিনি আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করছেন। তিনি মানুষের জীবন সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআনে কারিম দান করেছেন এবং আমাদেরকে মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আমরা আল্লাহর প্রশংসা এ জন্য করব যে, তার নেয়ামতগুলো ভোগ করেই তো আমরা দুনিয়ার বুকে বেঁচে আছি।

বস্তুত আল্লাহর অপরিসীম দয়া ও নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই মুসলমানরা তাদের হৃদয়ের সবটুকু আবেগ ও ভালোবাসা উজাড় করে তার ইবাদতে মশগুল হয়। বিপদে-আপদে সত্যিকারের মুসলমানদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, ‘নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ- সবকিছুই সেই মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি সারা বিশ্বের  প্রতিপালক। ’

পবিত্র কোরআনে কারিমের অসংখ্য জায়গায় আল্লাহর বিভিন্ন নেয়ামতের প্রশংসা করা হয়েছে। সূরা কাসাসের ৭০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোনো হকদার নেই। দুনিয়া ও আখেরাতের সব প্রশংসা শুধু তারই জন্য। শাসন কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্ব কেবলমাত্র তারই এবং তোমরা তার কাছেই ফিরে যাবে। ’

এ ছাড়া, পবিত্র কোরআনে কারিমের প্রথম সূরা অর্থাৎ সূরা ফাতেহার প্রথম আয়াতেও আল্লাহর প্রশংসা করা হয়েছে।

আমরা মুসলমান, আমাদের সব কাজের শুরুতে যেমন আল্লাহর নাম নেয়া দরকার, তেমনি সব সময় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ে প্রশংসা করা দরকার। তাহলে আল্লাহতায়ালা খুশি হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করবেন। আল্লাহতায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা প্রতিটি মানুষের দরকার, বিশেষ করে মুমিনদের। এটা প্রতিটি মুমিন জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কৃতজ্ঞতার ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবি হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা ইমানের অর্ধাংশ। ’ বিভিন্নভাবে আল্লাহতায়ালার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায়। তবে প্রধানত তিনভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যেতে পারে—
ক. অন্তর দ্বারা; খ. মুখের দ্বারা ও গ. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘন্টা, মে ১০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।