ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনা চীনের 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২১
মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনা চীনের 

মহাকাশে উপনিবেশ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে চীন। দেশটির পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মঙ্গল গ্রহে ঘাঁটি তৈরি করা, সেটাকে মানুষের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং কার্গো পরিবহনের জন্য একটি 'স্কাই ল্যাডার' তৈরি করা।

গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্সে রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না একাডেমি অব লঞ্চ ভেহিকল টেকনোলজির (সিএএলটি) প্রধান ওয়াং জিয়াওজুন বলেন, তিন ধাপের পরিকল্পনার প্রথমটিতে মঙ্গলগ্রহের নমুনা নিতে এবং মঙ্গলগ্রহের বেস সাইটের অবস্থান খুঁজতে উৎক্ষেপণ করা অ্যান্ড্রয়েডগুলি জড়িত।

এর পরে ঘাঁটিটি বিকাশের জন্য একটি মানববাহী মঙ্গল মিশন হবে, যখন তৃতীয় পর্যায়ে গ্রহে একটি সম্প্রদায় নির্মাণের জন্য পৃথিবী থেকে মঙ্গলগ্রহে পণ্যবাহী বহর পরিবহন করা হবে; ২০৩৩ থেকে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতি দুই বছর অন্তর এগুলোর বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  

সম্ভাব্য চতুর্থ পর্যায়ে একটি ‘আকাশের মই’ তৈরি করা হবে, যা মঙ্গলগ্রহে ভ্রমণে ব্যয় এবং সময় কমাবে।  

১৮৯৫ সাল থেকে রাশিয়ার মহাকাশ অগ্রগামী কনস্টান্টিন সিওলকোভস্কির চিন্তা থেকেই মানুষ ‘স্কাই ল্যাডার’ বা সংশ্লিষ্ট স্পেস এলিভেটরের ধারণা নিয়ে ভাবছে।

ধারনা অনুযায়ী যদি সত্যিই স্কাই ল্যাডার বা আকাশের মই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়, তবে মহাকাশে ভ্রমণের ব্যয় ৯৯ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে।  

শুধু মঙ্গলগ্রহ নয়, অন্যান্য গ্রহাণুর দিকেও দৃষ্টি রেখেছে চীন। পাশাপাশি আরও গবেষণার জন্য বৃহস্পতি গ্রহের দিকেও আছে তাদের নজর।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নাসা এবং স্পেসএক্স মঙ্গল অভিযানের জন্য মহাকাশযান তৈরি করছে। নাসা অবশেষে তার প্রথম মহাকাশ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা (এসএলএস) একত্রিত করেছে, এটি একটি বিশাল রকেট যা মানুষকে আরও একবার চাঁদে নিয়ে যাবে, পাশাপাশি মঙ্গল এবং বৃহস্পতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।