ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

এশিয়া প্যাসিফিকের দেশগুলোতে স্থলপথে ভ্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২১
এশিয়া প্যাসিফিকের দেশগুলোতে স্থলপথে ভ্রমণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত ...

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়, আর মানুষও ঘরবন্দি হয়ে পড়ে। চলতি ২০২১ সালেও সেই অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী মানুষের ভ্রমণের প্রবণতা এখনো আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি।

তবে প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি দেশে ডমেস্টিক ফ্লাইট বা অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বিমানে ভ্রমণের প্রবণতা কোভিড- ১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগের অবস্থার প্রায় ৯০ শতাংশে ফিরেছে। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার ১১৬ শতাংশ বুকিং নিয়ে বৈশ্বিক গড় হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মাস্টারকার্ড ‘রিকভারি ইনসাইটস: রেডি ফর টেকঅফ?’ শীর্ষক একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আকাশপথ ও স্থলপথে ভ্রমণের বর্তমান বৈশ্বিক প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবকাশ ও ব্যবসা, স্থানীয় ও দূরবর্তী গন্তব্যে চলাচল এবং সঞ্চয় ও ব্যয়ের মধ্যকার ভারসাম্য দিন দিন জোরদার হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ভ্রমণে মানুষের ব্যয় বাড়ছে, যা পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত বহন করে।

এপি অ্যান্ড এমইএ অব দ্য মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইন্সটিটিউটের চিফ ইকোনমিস্ট ডেভিড ম্যান বলেন, যদিও এশিয়া প্যাসিফিকের অনেক দেশে এখনো আন্তর্জাতিক সীমান্ত উন্মুক্ত হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক ভ্রমণের তুলনায় অবকাশযাপনকেন্দ্রিক ভ্রমণের হার এখনো খুব কম। তবে বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক ভ্রমণে ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটছে। এক্ষেত্রে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। দেশটির করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ইতোমধ্যে কোভিডের আগের অবস্থার প্রায় ৮০ শতাংশে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্রমণ আয়োজনের হার ২০১৯ সালের অবস্থার ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন সব দেশেই অবকাশযাপনকেন্দ্রিক ভ্রমণের চেয়ে ব্যবসায়িক ভ্রমণ বাড়ছে, সীমান্ত উন্মুক্ত হলে যা ক্ষতি কাটিয়ে উঠারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, গত বছরের প্রথম দিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি শীর্ষস্থানীয় বিমানসংস্থা ‘মাস্টারকার্ড টেস্ট অ্যান্ড লার্ন’ প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা হাতে নেয়। মাস্টারকার্ডের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাত দিনের চেয়ে বেশি সময়ের ভ্রমণ প্রবণতা দুই-তৃতীয়াংশ বাড়ছে এবং ভ্রমণের কয়েক মাস আগে টিকিট কেনার প্রবণতা প্রায় অর্ধেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাস্টারকার্ডের ওই বিশ্লেষণে আস্থা রেখে বিমান সংস্থাটি তাৎক্ষণিকভাবে কৌশল পুনর্বিন্যাস করে এবং ভ্রমণকারীদের অধিকতর উন্নত সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয় যাতে তাদের টিকিট বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এসই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।