ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চীনের দুই চ্যানেল ইউরোপে নিষিদ্ধ করার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
চীনের দুই চ্যানেল ইউরোপে নিষিদ্ধ করার দাবি

নিজেদের 'চীনা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির শিকার' হিসেবে বর্ণনা করে ১৩ জন অনুরোধ করেছেন, ইউরোপীয় স্যাটেলাইট অপারেটর 'ইউটেলসট' যেন চীনের চ্যানেল সিজিটিএন এবং সিসিটিভি৪ চালু রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে।

এ ব্যাপারে লেখা ওই ১৩ জনের চিঠি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সেফগার্ড ডিফেন্ডারস।

১৩ জন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, চীন তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে এবং সুষ্ঠু বিচারের অধিকার প্রত্যাখ্যান করেছে।
 
আরো বলা হয়েছে, আমরা আপনার কাছে জানতে চাই... গণতান্ত্রিক সমাজে স্যাটেলাইট অপারেটররা ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত এবং নির্যাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য প্রচারে নৈতিকভাবে জড়িত থাকতে পারে কি না?

আমরা কেবল এই কজন মুখ খুলেছি...ক্ষতিগ্রস্ত আরো অনেকে বন্দি আছে। যাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন ছাড়া পেয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

তাদের দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দাবি আদায়ের কোনো উপায় নেই। এই নির্যাতন বন্ধ করার একমাত্র উপায় টেলিভিশন নিয়ন্ত্রকরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম থেকে কোনো ধরনের আধেয় নেওয়া বন্ধ রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস চ্যানেল।

এদিকে পক্ষপাতিত্ব করা এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য সিজিটিএনকে জরিমানা করেছে ব্রিটেনে। জানা গেছে, ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা চীন এবং অন্য দেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে চীনের মানবাধিকার আইনজীবী বাউ লংজান এবং জিয়াং তিয়ানইয়ং রয়েছেন।

এছাড়া ওই তালিকায় সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট পিটার ডাহলিন রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ২০১৬ সালে তাকে চীন থেকে বের করে দেওয়া হয়। অবশ্য বের হয়ে আসার আগে তিনি তিন সপ্তাহ কারাগারে ছিলেন। সূত্র: ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।