ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

উত্তেজনার মধ্যেই বিতর্কিত জলসীমায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২১
উত্তেজনার মধ্যেই বিতর্কিত জলসীমায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ

পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং এই অঞ্চলে তার সমুদ্রসীমার দাবি অব্যাহত রাখায় ওয়াশিংটন সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে।

ফিলিপাইন দাবি করেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের হুইটসান রিফে ২০০টিরও বেশি জাহাজ নোঙর করে রেখেছে চীন। অবশ্য চীনও বিষয়টি স্বীকার করেছে।

ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছেন, চীন দাবি করেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজগুলো সেখানে নোঙর করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এটা ‘স্পষ্ট মিথ্যা’ এবং পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে চীনের অবৈধ দাবির মিথ্যা আখ্যান।

রোববার ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বে একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপ মালাক্কা প্রণালী থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করে। বেইজিংভিত্তিক দক্ষিণ চীন সাগর কৌশলগত পরিস্থিতি অনুসন্ধানকারীরা স্যাটেলাইটের ছবি পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মার্কিন রণতরী পূর্ব চীন সাগরেও কাজ করছে এবং শনিবার চীনের ইয়াংজি নদীর কাছাকাছি চলে গেছে।

এদিকে চীনের বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের মিয়াকো প্রণালী দিয়ে গেছে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাপানকে পূর্ব চীন সাগরের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জের ওপর 'সব ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধ' করার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর এ ঘটনা ঘটলো।  

ফিলিপাইনের নৌবাহিনী সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করেছে, লিয়াওনিং তাইওয়ানের কাছে ‘নির্ধারিত মহড়া’ পরিচালনা করার পথে রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা একই ধরনের নৌ মহড়ার আয়োজন অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে।  

এদিকে চীনের যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য টহল বিমান মোতায়েন করেছে জাপান।  

চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। ক্রমবর্ধমান মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কারণে চীন গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ চীন সাগর এবং পূর্ব চীন সাগর উভয় ক্ষেত্রেই তাদের সামুদ্রিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে।  

ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা প্রধান ডেলফিন লরেঞ্জনা রোববার বলেছেন, হুইটসান রিফের চারপাশে চীনা সামুদ্রিক মিলিশিয়াদের অব্যাহত উপস্থিতি পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে তাদের দখলদারিত্ব আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এএনআই

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।