ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডের জলপ্রপাতে আরও ৫ হাতির মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
থাইল্যান্ডের জলপ্রপাতে আরও ৫ হাতির মরদেহ জলপ্রপাতের নিচে হাতির মরদেহ

উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের নাখন নাইয়ক প্রদেশের খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যানের হেউ নারক জলপ্রপাত থেকে আরও পাঁচটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) স্থানীয় বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।  

এর আগে গত শনিবার (০৫ অক্টোবর) একটি বাচ্চা হাতি ৬৫৬ ফুট উঁচু এ জলপ্রপাতে পড়ে গেলে পালের অন্য হাতি তাকে উদ্ধার করতে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

সে সময় জলপ্রপাতে মোট ছয়টি হাতির মরদেহ আবিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

তীব্র স্রোতের কারণে ‘নরকের খাদ’ নামে স্থানীয়ভাবে বেশ পরিচিত এ জলপ্রপাত। এর আগে ১৯৯২ সালে এ জলপ্রপাতে পড়ে একসঙ্গে আটটি হাতি প্রাণ হারায়। তবে এবারের ঘটনাটি একক কোনো ঘটনায় এত সংখ্যক হাতির মৃত্যুর মধ্যে সর্বোচ্চ।

মঙ্গলবার নাখন নাইয়ক প্রদেশের গভর্নর নাটাপং সিরিচানাম সাংবাদিকদের জানান, দুর্গম পথ হওয়ায় বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ ছোট ছোট ড্রোন দিয়ে স্থানটি নজরদারি করছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার স্থান দুর্গম হওয়ায় আমরা হেঁটে গিয়ে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছি না। তাই ভূমি থেকে ১৫ মিটার উঁচু দিয়ে ড্রোন উড়িয়ে আমরা স্থানটি পর্যবেক্ষণ করছি।  

তিনি আরো বলেন, আমরা ধারণা করছি ওই পালে মোট ১৩টি হাতি ছিল এবং দুটি হাতি বেঁচে গেছে। আমরা শতভাগ আত্মবিশ্বাসী দুটি হাতি এখনো বেঁচে আছে কারণ, কর্তৃপক্ষ তাদের খাবারের জন্য হেউ নারক জলপ্রপাতের আশেপাশে ঘুরতে দেখেছে।

গত শনিবার রাত ৩টায় এক পাল হাতি জলপ্রপাতের কাছাকাছি রাস্তা আটকালে বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে তিন বছরের একটি বাচ্চা হাতির মরদেহ জলপ্রপাতের নিচ থেকে আবিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

কিছু সময় পর ওই মরদেহের কাছেই আরও পাঁচটি হাতির মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় খাদের মধ্যে আটকে থাকা দুটি হাতিকে উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

থাইল্যান্ডে বর্তমানে প্রায় সাত হাজার এশীয় হাতি রয়েছে, কিন্তু এর অর্ধেকই আবদ্ধ অবস্থায় দিনযাপন করছে। দুর্ঘটনাস্থল খাও ইয়াই পার্কে প্রায় তিনশ হাতির অবস্থান জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।