ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

এনআরসি থেকে বাদ পড়লেন বিধায়ক-সাবেক সেনা কর্মকর্তাও!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এনআরসি থেকে বাদ পড়লেন বিধায়ক-সাবেক সেনা কর্মকর্তাও!

আসামে বিজেপি সরকারের তৈরি করা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়া বাসিন্দাদের তালিকায় রয়েছেন বিরোধী দলের বিধায়ক, এমনকি ভারতের হয়ে যুদ্ধ করা সাবেক সেনা কর্মকর্তাও। প্রেসিডেন্ট মেডেল পাওয়া সেনা কর্মকর্তা (যিনি কারগিল যুদ্ধে অংশ নেন) এবং রাজ্যের বিধায়ক কীভাবে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তা নিয়ে খোদ সরকারেই চলছে সংকট, সমালোচনায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় প্রকাশিত চূড়ান্ত এ তালিকায় নাম উঠেছে মোট ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জনের। বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন।

এরমধ্যেই রয়েছেন ওই বিধায়ক এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হওয়া কারগিল যুদ্ধে অংশ নেন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন এনআরসিতে তার এবং তার দু্ই মেয়ে ও এক ছেলের নাম নেই! এর আগেও তিনি আলোচিত ছিলেন যখন আসামের বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তাকে ‘বিদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করে বন্দিশিবিরে পাঠিয়েছিল।

সেনাবাহিনীতে ১৯৮৭ সালে যোগদান করা সানাউল্লাহ (৫২) প্রেসিডেন্ট মেডেল পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০০৮ সালে দায়ের হওয়া একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ‘বিদেশি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং তার নাম সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে তাকে বন্দিশিবিরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা গৌহাটি হাইকোর্টে আপিল করেন যা এখনো ঝুলে রয়েছে।

অপরদিকে অনন্ত কুমার মালো নামে আসামের অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত বিধায়কও বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। দলটি আসামের বিরোধীদলের মধ্যে অন্যতম। এ নিয়ে তার দলের মধ্যেই ক্ষোভ-অসন্তোষ ছড়িয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ হাজারের মতো বিদেশি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০ ট্রাইব্যুনাল খোলা হয়েছে। আরও ২০০টি ট্রাইব্যুনাল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই খোলা হবে। সেখানে যাদের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে তারা আবেদন করতে পারবেন। তাদের এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখনই তারা বিদেশি নন। আর আবেদন করতে হবে আগামী ১২০ দিনের মধ্যে। এছাড়া যদি কেউ ট্রাইব্যুনালে আপিল করে ব্যর্থ হন, তাহলে সর্বোচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।