ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে ঢুকতে চাওয়ায় আটক সিপিএম প্রধান সীতারাম ইয়েচুরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
কাশ্মীরে ঢুকতে চাওয়ায় আটক সিপিএম প্রধান সীতারাম ইয়েচুরি

ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে কারফিউর মধ্যে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্ক্সিস্টের (সিপিএম) মহাসচিব সীতারাম ইয়েচুরি। 

স্থানীয় প্রশাসনকে আগে থেকে অবগত করে যাওয়ার পরও শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামতেই আটক হন সীতারাম। তার সঙ্গে ডি রাজা নামে আরেক রাজনৈতিক সহকর্মীও আটক হয়েছেন।

এ বিষয়ে সিপিআইএমের এক টুইটার বার্তায় বলা হয়, সীতারাম ইয়েচুরিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অসুস্থ সিপিএম নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ তরিগামিকে দেখতে এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রশাসনকে আগেই অবগত করে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তাকে এভাবে বেআইনিভাবে আটক করার নিন্দা জানাই।

শ্রীনগরগামী ফ্লাইটে ওঠার আগে সিপিএম প্রধান কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মলিকের কাছে সেখানে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি জানান যে, তিনি সিপিএম নেতা অসুস্থ মোহাম্মদ ইউসুফ তরিগামিকে দেখতে যাচ্ছেন।  

শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর সীতারাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তারা আমাদের সরকারি আদেশ দেখাচ্ছেন যে এখন কাশ্মীরে ঢোকা যাবে না। এমনকি কোনো নিরাপত্তা বহরের সঙ্গেও কেউ কাশ্মীরে ঢুকতে পারবে না বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা কাশ্মীরের গভর্নরের কাছে লিখিত চিঠি দিয়েও আটক হলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কাশ্মীরে ঢুকতে গিয়েও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয় কংগ্রেসের সংসদীয় প্রধান গুলাম নবী আজাদকে।  

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ সম্প্রতি বাতিল করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে নাটকীয় কায়দায় অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বন্দি করা হয় সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় সশস্ত্র বাহিনী।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে গেলে তখন কাশ্মীরের শাসকরা বিশেষ শর্তে ভারতে যোগ দেন। সেই শর্তটিই ৩৭০ অনুচ্ছেদ আকারে সংবিধানে সংরক্ষিত ছিল। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করতো। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা এবং ব্যবসা করার সুযোগটিও ছিল কেবল কাশ্মীরিদের জন্যই।  

এই অনুচ্ছেদটি বাতিল করায় বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব কংগ্রেস, সিপিএমসহ অনেক বিরোধী রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও অনুচ্ছেদটি বাতিলের সমালোচনা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।